নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) পাটশাকের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী মো. জ্যাবলুল তারেক। দীর্ঘ ৫ বছরের গবেষণায় বিজেআরআই দেশি পাটশাক-২ (ম্যাড়া লাল) ও বিজেআরআই দেশি পাটশাক-৩ (ম্যাড়া সবুজ) নামে জাত দুটি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানান তিনি।
গবেষক জ্যাবলুল তারেক সমকালকে বলেন, বুনো জাতের পাট থেকে উন্নত আঁশ পাওয়ার উদ্দেশ্যে গবেষণাটি শুরু করেছিলেন। কিন্তু বীজ বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই শাখা-প্রশাখায় ঝোপালো হয়ে ফুল আসতে শুরু করে। সে জন্য এই জাত থেকে লাভজনক আঁশ পাওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে একই প্রকল্পের আওতায় শাক হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে গবেষণা শুরু করে সফলতা পেয়েছেন। উদ্ভাবিত জাত দুটি স্বাদে তিতা নয় এবং সুস্বাদু। পুষ্টিমাণও প্রচলিত পাটশাকের চেয়ে বেশি। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ম্যাড়া লাল ও ম্যাড়া সবুজ লাইন দুটি শাকের জাত হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন। পাটশাক দুটির পুষ্টিমান ও অন্যান্য তথ্যসংবলিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ ‘International Journal of Vegetable Science’ জার্নালে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাত দুটি সব ধরনের জমিতে প্রায় সারা বছর চাষ করা যায়। এমনকি এটি অল্পমাত্রার লবণাক্ত এলাকাতেও চাষ করা সম্ভব। এই ফসলে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়। ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ঝোপালো এই শাকগাছ থেকে কয়েকবার শাকপাতা সংগ্রহ করা সম্ভব। বীজ বপনের ২৫-৩৫ দিনের ভেতরেই শাকপাতা সংগ্রহ করা যায়। প্রতি হেক্টরে ৩-৪ টন ফলন পাওয়া সম্ভব।