পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়: প্রধানমন্ত্রীপাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ

আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর খননের বিল নেওয়া হয়। পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরদারির নির্দেশও দেন তিনি।

গত ২১ জুন ২০২০, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়। পুকুরের গভীরতা খনন না করে চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয়। এর আগে একনেক সভায় এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে ‘পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৮০ এমপির জন্য বরাদ্দ ৬৪৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়।।

খালকাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু পাড় থেকে একটু মাটি তুলেই যেনো বিল (টাকা) না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজর রাখান নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন তার কাছে খাল কাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু ছেঁটে-ছুটে বিল তোলা হয়েছে এ বিষয়টি আমি চেক করিয়েছি। মন্ত্রণালয়কে বলেছি এটা ভালো করে দেখা দরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কেউ কেউ করেছে, এটা আমিও দেখেছি। এটা সম্পর্কে তিনি (প্রধামন্ত্রী) জানেন এবং খুব স্টং মন্তব্য করেছেন। মাটিকাটা হলে সেটা যেনো প্রয়োজনীয় গভীর করে কাটা হয়। আর মাটি যে কাটা হয়েছে সে মাটি গেলো কোথায় এ বিষয়ে ঠিকাদারকে জবাব দিতে হবে।

সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *