মফিজ উদ্দিন মফিজ
এখন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকই কম-বেশি কৃষির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত । বিশেষ করে, ছাদবাগান, ছাদে মুরগীসহ বিভিন্ন জাতের পাখি পালন,মাৎস্য চাষ,বাড়ি ও বাসাবাড়ির আংগিনায় শাক সব্জির বাগান, ব্যাপকহারে বৃক্ষ রোপন,মৎস্য সহ আরো কয়েকটি জলজ প্রাণীর উৎপাদন, গরু, মহিষ,ছাগল পালন বৃদ্ধি, বৃহৎ বৃহৎ ও ব্যাপক মোরগের খামার স্থাপন, অনেক জেলায় গড়ে উঠেছে বাহারী সব ফুলের মনোরম হাট বাজার। আর সরকারি প্রনোদনায় ও সমগ্র দেশেই কৃষির উন্নয়ণ প্রতিনিয়ত সম্প্রসারণ হচ্ছে। প্রায় সব ধরনের খাদ্যে আজ আমরা স্বনির্ভর। আর সারা বিশ্বের মাঝেও বেশ কয়েকটি পণ্য উৎপাদনে ২-৪ অবস্থানে স্থান করতে সক্ষম হয়েছি। বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করা গেলে কৃষিও কৃষকের উন্নতি আরো উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখি পর পর দুবার বন্যা বা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে কৃষির উৎপাদন ব্যাহত হলে করুন হয়ে পড়ে দেশের আর্থিক অবস্থা আর এ অবস্থা উত্তরণে সরকার ও হিমশিম খায়। অপরদিকে নিত্য আমাদের ছোট এ দেশটির আবাদী জমি কমে যাচ্ছে। এ অযাচিত ও অসহনীয় অবস্থার সমাধান হওয়া একান্ত জরুরী – যা সকলে অবশ্য প্রত্যাশাও করেন। এবারের করুন ও জটিলবৈশ্বিক মহামারীতে প্রায় সকল উৎপাদনের চাকা বন্ধ রাখতে সরকার বাধ্য হলেও কৃষির ( ব্যাপক অর্থে) উৎপাদন ব্যাহত করাতো দূরের কথা, বরং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারী প্রনোদনা আরো বাড়িয়েছেন। কারন নিজের দেশে খাবার না থাকলে বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাবে পৃথিবীর কোথাও খাবার কিনতে পাওয়া যাবে না। এ চিন্তা মাথায় রেখে সদাশয় ও কৃষি বান্ধব সরকার অবশ্যই বিবিধ মেয়াদী নতুন নতুন বাস্তব সম্মত এবং সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করিবেন এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। সর্বোপুরি বর্তমানে, সকল ক্যাডার অফিসারদেরই কম বেশী কৃষি সম্পর্কে জ্ঞান রেখে কাজ করতে হয়। তাই এই মুহূর্তে একজন ক্ষুদ্র কৃষিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা (কমান্ডার রণাঙ্গন আখাউড়া) হিসাবে দেশ ও জনগণের স্বার্থে পুনরায় SSC পর্যন্ত কৃষি বিজ্ঞান কে বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবসহকারে আবেদন জানাচ্ছি। আশা করি – সদাশয় ও কৃষি বান্ধব সরকার এ প্রস্তাবটি অনুগ্রহ করে বিবেচনায় নিবেন।
কৃষিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা (কমান্ডার রণাঙ্গন আখাউড়া)