পেঁয়াজ আমদানিতে ৩০% শুল্ক আরোপের সুপারিশপেঁয়াজ আমদানিতে ৩০% শুল্ক আরোপের সুপারিশ

নিউজ ডেস্কঃ
দেশে উৎপাদন উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি গত ৪ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠায়।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর কমিশনের এ সুপারিশ এল। ভারত প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ রাখার পর ১ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেয়।

এদিকে বাংলাদেশেও মৌসুম শুরু হয়েছে। ভারত থেকে আমদানির কারণে দেশীয় কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে ভারত রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় ওঠে। পরে অবশ্য অন্য দেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদন শুরু হওয়ায় দাম কমে যায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বুধবার রাতে প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা এক সপ্তাহ আগেও কেজি ৫০ টাকার বেশি ছিল।

অন্যদিকে অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ নেমেছে প্রতি কেজি ৩০ টাকায়। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. রেজাউল দেওয়ান বলেন, ভারতের পেঁয়াজ এখনো বাজারে ঢোকেনি। কিন্তু রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যায়।

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে শুল্ক প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বহাল রাখা এবং পেঁয়াজের সরবরাহ যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য ভারতসহ অন্যান্য দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও পেঁয়াজ রপ্তানি পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজরদারি করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যয়ের একটি হিসাব তুলে ধরা হয়। বলা হয়, দেশে এবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যয় ১৩ টাকা এবং কৃষকের কাঙ্ক্ষিত মূল্য ধরা যায় ২০ টাকা।

কমিশন আরও বলেছে, ভারতের পেঁয়াজ আমদানিতে প্রতি কেজির দাম (অবতরণ মূল্য) দাঁড়ায় ১৫ টাকা, যা স্থানীয় কৃষকের কাঙ্ক্ষিত মূল্যের চেয়ে কম। সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপসহ আমদানির অন্যান্য খরচ যোগ করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজের অবতরণ মূল্য দাঁড়াবে ২১ টাকা। ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে দাম পড়বে কেজিপ্রতি ২০ টাকার মতো। তাই উৎপাদন পর্যায়ে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত মূল্য ২০ টাকা নিশ্চিত করতে সরকার আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করতে পারে বলে মনে করে কমিশন।

এদিকে প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, সেখানকার পাইকারি বাজারে বুধবার প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা। এতে কেজিপ্রতি দাম পড়ে ২৫ থেকে ২৬ টাকা। গত সপ্তাহে এ দর ছিল কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

সুত্রঃ প্রথম আলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *