সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫২৮টি গৃহপালিত পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব পশুর মালিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। নিমিষেই ডুবে যায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরসহ ১২টি উপজেলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েন ১২ লাখেরও বেশি মানুষ।বিভিন্ন সড়ক ডুবে ও ভেঙে সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
শুধু তাই নয়, বন্যার পানি থেকে জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন লাখো মানুষ। তবে বন্যার পানিতে হারিয়েছেন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, মহিষসহ বিভিন্ন গৃহপালিত পশু-পাখি।
এদিকে নিমেষেই এতগুলো পশু মৃত্যু হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের মানুষ। তারা জানান, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি। না ঘরবাড়ি আছে আর না গরু ছাগল আছে। সব হারিয়ে এখন তারা নিঃস্ব।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হামিদ মিয়া বলেন, ‘কষ্ট করে দুটি গরু কিনেছিলাম। বন্যায় গরু দুটি মারা গেছে। এখন আমরা চলা বড় দায়।’
ক্ষতিগ্রস্ত রুকন মিয়া বলেন, ‘ছেলে-মেয়েকে আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে গোয়াল ঘরে থাকা গরু নিতে এসে দেখি দুটি আছে আর তিনটি বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অনেক খুঁজেও পাইনি।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫২৮টি পশু-পাখির মৃত্যু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো সুনামগঞ্জে এরই মধ্যে গো খাদ্য চরম আকারে সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৯০০ টন গো খাদ্য ও ওষুধ চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সুত্রঃ জাগো নিউজ