প্রতিটি বাড়ি হোক একটি কৃষি খামারপ্রতিটি বাড়ি হোক একটি কৃষি খামার

নিউজ ডেস্কঃ

দেশে শিল্প কারখানা বেশি হলে কারা লাভবান হন? শিল্প কারখানার উন্নয়নে শ্রমিকের ভাগ্য তো বদলায় না। কিন্তু মালিকেরা কোটিপতি হতে থাকেন। উপার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করেন। মালিকদের ছেলেমেয়ে বিদেশে বসতি গড়েন। আর শ্রমিকেরা শহরের ময়লা-আবর্জনার মতো স্তুপ হতে থাকেন। বিগত তিন দশকে রাষ্ট্রীয় অবহেলায় দেশের কৃষিভিত্তিক গ্রামগুলো ফাঁকা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় প্রণোদনায় এই দেশে শুধু শিল্প উন্নয়ন নয়, কৃষি উন্নয়নও খুব জরুরি। প্রতিটি বাড়ি হবে কৃষি খামার। প্রতিটা গ্রাম হতে হবে স্বয়ং সম্পূর্ণ। তাহলেই আমাদের রাজধানীমুখি কিংবা শহরমুখি হবার চাপ কমবে। অতীতেও আমাদের গ্রামগুলো কৃষি নির্ভরই ছিল। রাষ্ট্রের অবহেলায় দেশের কৃষি এখন ধংসের মুখে। করোনার এই মহামারিতে নিশ্চয় বুঝতে পারা উচিত, কৃষিই এই এদেশের অর্থনীতির রক্ষা কবচ, শিল্প কারখানা নয়।

স্বাধীনতার পর এক শ্রেণির নব্য ব্যবসায়ি, আর লোভী রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীরদের হাত ধরে দেশে শিল্প কারখানার বিকাশের মধ্য দিয়ে নব্য পুঁজিপতি তৈরি হয়েছে। এরা দেশের কোনো বিপদেই নিজ দেশকে নিরাপদ মনে করে না।

বিদেশে বাড়ি কিনে সেখানেই সংসার সাজান। দেশে উপার্জন করেন, বিদেশে খরচ করেন। এরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর উত্তরসুরি। এদের শিল্প কারখানার উন্নতিতে এই দেশের মানুষের অর্থনীতির ভাগ্য বদল হবে না।

এই দেশের মানুষের অর্থনীতির ভাগ্য বদল হতে পারে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে। তাই করোনাকাল কেটে গেলে, নতুন পৃথিবীতে বাংলাদেশ হোক কৃষি নির্ভর। প্রতিটি বাড়িই হোক কৃষি খামার। প্রতিটি গ্রাম হোক কৃষিতে স্বয়ং সম্পূর্ণ।

আমি নিতান্তই এক সাধারণ। তাই ফেসবুকের খোলা পাতায় আবারও বলি, কৃষিই এই দেশের অর্থনীতির রক্ষা কবচ, শিল্প কারখানা নয়।

পাভেল রহমান   লেখক: গণমাধ্যমকর্মী   সুত্রঃ ঢাকাটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *