সস, কেচাপসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি টমেটো নিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ’।
চলতি বছর ১২ হাজার মেট্রিক টন টমেটো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণ। সে অনুযায়ী পুরোদমে সংগ্রহের কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা। রাজশাহীর গোদাগাড়ী বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও নাটোরের একডালায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার মাধ্যমে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টমেটো সংগ্রহ ও পাল্পিং কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রম চলবে টমেটোর সরবরাহ থাকা পর্যন্ত।
প্রাণ টমেটো সংগ্রহ করছে নিজস্ব চুক্তিভিত্তিক টমেটো চাষিদের কাছ থেকে। রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, খুলনাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বর্তমানে প্রাণের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার চুক্তিভিত্তিক টমেটো চাষি রয়েছে।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জেনারেল ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে প্রচুর টমেটোর চাষ হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের চুক্তিভিত্তিক টমেটো চাষিদের কাছ থেকে টমেটো সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে এবং সেগুলো কারখানায় এনে পাল্পিং করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাণের চুক্তিভিত্তিক চাষিরা এবছর প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। বাজার দরে তাদের কাছ থেকে এসব টমেটো সংগ্রহ করে কারখানায় আনার পর কোনো হাতের স্পর্শ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় মেশিনে অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে পাল্প সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়। এরপর এসব পাল্প থেকে পণ্য উৎপাদন করতে বিভিন্ন কারখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘প্রাণ সবসময় সর্বোচ্চ গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের জন্য উৎকৃষ্ট কাঁচামালের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এজন্য শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ভালোমানের টমেটো উৎপাদনের জন্য চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের সঙ্গে ২০১০ সাল থেকে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং প্রাণের প্রতিনিধিরা উন্নতমানের বীজ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা দিয়ে আসছে। এতে বিঘাপ্রতি ফলনও ভালো হচ্ছে এবং কৃষকরাও ভরা মৌসুমে সহজে সব টমেটো বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।’
তিনি আরও বলেন, টমেটো থেকে উৎপাদিত সস-কেচাপ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে প্রাণের সস্-কেচাপ ভারত, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এই বাজার আরও বাড়াতে কাজ করছে প্রাণ গ্রুপ। তাই যত বেশি বাজার তৈরি হবে, কৃষকরা তত লাভবান হবেন।
সুত্রঃ জাগো নিউজ