নিউজ ডেস্কঃ
দক্ষিণাঞ্চলে ধানের পরেই দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল হিসাবে স্থান করে নিয়েছে সুপারি। লাভজনক ফসল হিসেবে এ অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি সুপারির চাষ করা হয়। এটি এ অঞ্চলের একটি আপদকালীন ফসল হিসেবেও পরিচিত। আর দক্ষিণাঞ্চলে সুপারি উৎপাদনে প্রসিদ্ধ একটি নাম পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা। এ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে বছরে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ কোটি টাকার কাঁচা ও পাকা সুপারি চালান হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
গত বছরের তুলনায় এবার ফলন কম। তাই দাম গতবছরের চেয়ে দেড়গুন বেশি। এবার মৌসুমের শুরুতে প্রতি কুড়ি (২১০টি) পাকা সুপারি স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৮০ টাকা। আর কাচা সুপারি প্রতি কুড়ি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শুকনো সুপারি প্রতি মণ ১৩ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় পাইকারি বাজারগুলোতে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সুপারি গাছের। তখন বেসরকারি হিসাবে দেখা গেছে সিডরের কারণে বড় বড় গাছ চাপা পড়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ সুপারি গাছ মারা যায়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো প্রায় ২৫ শতাংশ গাছ।
চন্ডিপুর হাটের সুপারির আড়ৎদার আক্তার হোসেন জানান, এ উপজেলার মধ্যে সুপারি কেনা বেচার বড় হাট হচ্ছে এটি। শুধু চন্ডিপুর হাট থেকেই প্রায় ২০০ বস্তা সুপারি প্রতি হাটে কিনে নিয়ে যান বেপারিরা।
চন্ডিপুর গ্রামের চাষি দিবাকর দত্ত বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক ফলনও পাইনি। তবে ফলন যাই হোক দাম অনেক ভালো চলছে।
ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দিকা বলেন, সুপারি এ অঞ্চলের একটি অর্থকরী ফসল। এ উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি সুপারির চাষ হয়। এবার ফলন কিছুটা কম হলেও দাম অনেক বেশি। প্রতি বছর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়িতে সুপারি গাছের চারা লাগাচ্ছেন চাষিরা।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ