বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন আবিষ্কার ‘বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০’ ধান। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা এই জাতের ধান শোভা পাচ্ছে এবার খুলনার বোরো ক্ষেতগুলোতে।
১৪৮ দিনের মধ্যেই ফসল কাটার মত উপযুক্ত হয়ে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৭ টন থেকে সাড়ে ৮ টন পর্যন্ত উৎপাদন হয় এই ধান। ফলে অন্য যেকোন জাতের চেয়ে কৃষকের আগ্রহ বেশি এই ধান চাষের প্রতি।
কৃষি বিভাগ বলছে, এতে রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড় আক্রমণের পরিমাণ কম হওয়ায় অনেক কৃষকই ঝুঁকবেন এই ধান আবাদে।
খুলনা জেলার রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা ও কয়রায় বঙ্গবন্ধু জাতের বোরো ধানের বীজ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে। বীজতলায় ৩৫ দিন বয়স থেকে এ জাতের চারা রোপন করা যাবে। ১৪৮ দিনের মধ্যেই ফসল কাটার মত উপযুক্ত হয়ে উঠবে।
বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০ ধানের এই ফলন বিআর-৭৪ ও বিআর-৮৪’র চেয়ে এর ফলন বেশি। ক্ষেত্র বিশেষে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৭ টন থেকে সাড়ে ৮ টন পর্যন্ত উৎপাদন হবে। অন্য যেকোন জিংক জাতের চেয়ে উৎপাদন বেশি থাকায় কৃষকের আগ্রহ বেশি এই ধানের প্রতি।
খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার কৃষি অফিসার ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম থাকায় উচ্চ ফলনশীল এ জাতের ধানকে জনপ্রিয় করার লক্ষে বাংলাদেশের ম্যাপ তৈরী করে কৃষকদের উৎসাহিত করে চলেছে কৃষি বিভাগ’।
খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার বঙ্গবন্ধুর আশা পূরণে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বঙ্গবন্ধু জাতের ধান উদ্ভাবন। এই ধানের আবাদ দ্রুত কৃষকদের মাঝে সম্প্রসারণ করতে কৃষি বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে’।
সুত্রঃ চ্যানেল আই