নিউজ ডেস্কঃ
বরিশারে গরুর জন্য আবাদ করা হচ্ছে ভুট্টা। এটি স্বল্পমূল্যের উন্নত গো-খাদ্য হওয়ায় কৃষকরা তাদের গরুর জন্য এটি আবাদ করে ব্যাপকা সাড়া জাগিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে ভুট্টা উৎপাদন যেমন স্বল্প খরচের, তেমন পরিশ্রমও কম। আর ভুট্টার মতো উন্নতমানের গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ, সেই সঙ্গে ফিডের থেকে ভুট্টা খাওয়ানো গরু অনেকটাই সতেজ ও তরতাজা থাকে।
বরিশাল সদর উপজেলার কৃষকরা জানান, ভুট্টা এমন একটি শস্য যা শুধু মানুষের জন্য উপকারী এমনটা নয়। এটি গবাদি পশুর জন্যও উপকারী। আবার ভুট্টা, ফিডের চেয়ে দামেও অনেকটাই সাশ্রয়ী। তাই যে অঞ্চলে মানুষ বেশি গরু লালন-পালন অর্থাৎ গো খামারি রয়েছেন সেখানে ভুট্টার আবাদ বেশি করতে দেখা যায়।
তারা আরো জানান, ভুট্টা আবাদে বেশি শ্রম যেমন প্রয়োজন হয় না, তেমনি জাতভেদে সময় অনুযায়ী পরিমাণ মতো ফসফেট, ড্যাপ, ইউরিয়া ও জিপসাম সার ব্যবহার করলেই হয়। আর এতে বীজ ও সারসহ ভুট্টা উৎপাদনে তেমন একটা খরচও হয় না। আবার এ অঞ্চলে তেমন একটা রোগবালাই ও দেখা যায় না ভুট্টা ক্ষেতে।
তারা জানান, ভুট্টা যেমন সহজে সংরক্ষণ করা যায়, তেমনি গবাদি পশু (গরু) খেয়েও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফিডের থেকে ভুট্টা খেয়ে বড় হওয়া গরুর শারীরিক শক্তি ও গঠন বেশি ও ভালো হয়ে থাকে উল্লেখ করে একজন খামারি বলেন, ভুট্টা খাওয়ানো গরু সহসা নিস্তেজ হতেও দেখা যায় না, রোগ বালাইও কম হয়। আর ফিডের থেকে খরচ প্রায় অর্ধেক হওয়ায় যারা বেশি সংখ্যক গরু লালন-পালন করেন তারা নিজেরাই জমিতে ভুট্টা উৎপাদন করেন।
বরিশাল সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা হক জানান, ধান ও গমের থেকে ভুট্টাতে পুষ্টিমান অনেক বেশি। এটি মানুষের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া ভুট্টার বহুমুখী ব্যবহার থাকলেও দেশে পোল্ট্রি ও মাছের খাবার হিসেবে এর ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে বর্তমানে গো-খাদ্য হিসেবেও ভুট্টা ব্যবহার বেড়েছে। বরিশালেও গো-খাদ্য হিসেবে অনেকেই ভুট্টার আবাদ করছেন। ফলে এ অঞ্চলেও ভুট্টা চাষ বাড়ছে।
সুত্রঃ এগ্রিভিউ