নিউজ ডেস্কঃ
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এখন আম, টমেটো, জলপাই, পেয়ারাসহ কয়েকটি পণ্যের মৌসুমভিত্তিক পাল্পিং হচ্ছে। সেখানে শিগগিরই তরমুজ, আনারস, শসা, অ্যালোভেরার পাল্পিংও শুরু হবে। এ ছাড়া গ্যাস–সংযোগসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে আগামীতে রপ্তানিমুখী হিমায়িত খাদ্য (ফ্রোজেন ফুডস) ও নুডলসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদনেরও পরিকল্পনা রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এ শিল্প গ্রুপের। এসব কারখানা পুরোদমে চালু হলে চার থেকে পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে, যার ৯৫ শতাংশ হবে স্থানীয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর আমানতপুরে বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
২০১৭ সালে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর আমানতপুরে ১০২ বিঘা জমির ওপর বরেন্দ্র শিল্প পার্ক গড়ে তোলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানান, এই গ্রুপের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো কৃষিপণ্যের সম্প্রসারণ ও কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন। আর গোদাগাড়ীতে শিল্প পার্ক স্থাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকেরা যেন তাঁদের উৎপাদিত ফসল কোনো ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই স্বল্প পরিবহন খরচে বিক্রি করতে পারেন। এরই মধ্যে বরেন্দ্র শিল্প পার্কে স্বল্প পরিসরে আম, টমেটো, পেয়ারা ও জলপাই সংগ্রহের পাশাপাশি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করা হচ্ছে। এর সুফল পেতে শুরু করেছেন স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ। এই কর্মকাণ্ডের ফলে কৃষকেরা কারখানায় পণ্য সরবরাহ শুরু করেছেন।
কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন, স্থানীয় আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও লোকজনের ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমরা এরই মধ্যে গ্যাস–সংযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। বর্তমানে এখানে প্রাণের কারখানায় মৌসুমভেদে এক থেকে দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করছে।’
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান, উপব্যবস্থাপক মাকছুদ-উল-ইসলাম জোয়াদ্দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো