বহু রোগের প্রতিষেধক সজনে ডাটাবহু রোগের প্রতিষেধক সজনে ডাটা

নিউজ ডেস্কঃ
সবার কাছেই খুব পরিচিত একটি গাছ হচ্ছে সজনে। এটি এমন একটি গাছ যার ডাটা, পাতা ও ফুল সবই খাওয়ার উপযোগী। সজনের তৈরি তরকারি খেতেও দারুণ সুস্বাদু। বাজারে এখন সজনে খুব সহজেই পাওয়া যায়। দামেও বেশ সস্তা। জানলে অবাক হবেন যে, সজনে কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও। আমাদের দেহের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক এই সজনে ডাটা।
যদিও সজনের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তবে আমাদের সবারই এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানা থাকা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সজনে সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

>> এটি শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

>> সজনে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

>> সজনেতে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান।

>> শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।

>> এটি শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।

>> এটির এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি যকৃত ও কিডনী সুস্থ্য রাখতে এবং রূপের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করে থাকে।

>> সজনে ফুল ও পাতা শাকের মতো রান্না করে বসন্তকালে খেলে বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ সজনে বসন্ত রোগের প্রাকৃতিক টিকা।

>> এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে এবং পালং শাকের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রন বিদ্যমান। যা এ্যানেমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

>> প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান।

>> মানুষের শরীরের প্রায় ২০% প্রোটিন যার গাঠনিক একক হলো এমাইনো এসিড। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেটাবোলিজম এবং অন্যান্য শারীরবৃত্ত্বীয় কার্যাবলী পরিপূর্ণরূপে সম্পাদনে এমাইনো এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যা সজনেতে পরিপূর্ণ থাকে।

>> সজনে নিয়মিত সেবনে শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে আরো শক্তিশালী করে এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ হওয়ার দরুন এটি ‘এইডস’ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

>> এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। পাতা থেকে তৈরি এক টেবিল চামচ পাউডারে ১৪% প্রোটিন, ৪০% ক্যালসিয়াম, ২৩% আয়রণ বিদ্যমান।

>> এতে ৩৬ টির মতো এন্টি-ইনফ্ল্যামমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *