আগের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আবার আলু আমদানি শুরুর কথা জানিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেইন যুদ্ধের এ সময়ে দেশটির এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৫ সালের পর রাশিয়ায় বাংলাদেশের আলু রপ্তানির বাধা কাটল।
সোমবার ঢাকায় রুশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুদিন আগে দেশটির ফেডারেল সার্ভিস ফর ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফাইটোস্যানিটারি সার্ভিলেন্স বাংলাদেশ থেকে আলু আমাদনির আগের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের যে কোনো এলাকা থেকে আলু আমদানির উপর পূর্বের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে পুনরায় তা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রুশ দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশের উদ্ভিদের কোয়ারেন্টিন ও সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা যথাযথ কর্তৃপক্ষের তথ্যের উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। এতে রাশিয়া ও ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের ‘ফাইটোস্যানিটারি’ বিষয়ক শর্তভঙ্গ না করার বিষয়ে পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলু আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা উঠাতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল সরকার।
এ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান।
এর আগে ২০১৫ সালে সবশেষ রাশিয়ায় গিয়েছিল ২০ হাজার টন বাংলাদেশি আলু। দেশটির নিষেধাজ্ঞার কারণে পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট ১ লাখ ১০ হাজার টন আলু রপ্তানি করে। এখন বছরে রপ্তানির পরিমাণও কম-বেশি এক লাখ টন।
২০১৫ সালের মে থেকে ‘ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া’ পাওয়ার কথা তুলে ধরে আলু আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় রাশিয়া।
এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে চলা আলোচনা ও দেনদরবারের মধ্যে ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান চলার মধ্যে বাংলাদেশি আলু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল রাশিয়া।
পাশাপাশি বসনিয়া থেকে নাশপাতি, চীন থেকে বাদাম, মলদোভা ও সার্বিয়অ থেকে বোন অ্যান্ড সিড ফ্রুটস এবং আজারবাইজান থেকে আপেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে পুতিনের দেশ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশে ১ কোটি ১৩ লাখ টন আলুর উৎপাদন হয়েছে। আর ওই সময়ে দেশের আলুর চাহিদা ছিল ৭৭ লাখ টন।
বাংলাদেশ সাধারণত মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, হংকং, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, তুরস্ক, আজারবাইজান, ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়ায় আলু রপ্তানি করে থাকে।
সুত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম