নিউজ ডেস্কঃ
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারি ও সাধারণ মানুষ পশু বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বসেছে পশু বেচাকেনার হাট। তাই তো শেরপুরের নকলা উপজেলায় ‘বাংলার বাহাদুর’ নামে একটি গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৩ লাখ টাকা। কালচে লাল রঙের সুঠাম দেহের দেশি জাতের ষাঁড়টি উপজেলার বানেশ্বরদী এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামের শখের বশে পালিত।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নিজের পালিত দেশীয় গাভির বাচ্চাটি আজ এত বড় হয়েছে। তাই একে ‘বাংলার বাহারদুর’ নামে ডাকা হয়। বাংলার বাহাদুরের বর্তমান দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন প্রায় ৩৬ মণ। বাছুর অবস্থা থেকেই একে জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়ে পরিণত করার জন্য লালন-পালন করেছি।’
আমিনুল আরও বলেন, ‘শান্ত প্রকৃতির বাংলার বাহাদুরকে দেখতে আমার বাড়িতে প্রতিদিনই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। তবে বাহাদুরকে গরু মোটাতাজাকরণের খাবার খাওয়ানোর সামর্থ আমার ছিল না। তাই সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়েছি। আর বাহাদুরকে বর্তমান অবস্থায় আনতে সময় লেগেছে প্রায় ৫ বছর।’
বাংলার বাহাদুরের খাদ্যতালিকায় রয়েছে- পরিমিত পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খড়, গমের ভূষি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খৈল, চিটাগুড়, মিষ্টি লাউ, গোল আলু, চালের কুড়া, লবণ ও প্রয়োজনমতো পানি। তাছাড়া নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরে রাখা, ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত কিছু সময় হাঁটানো, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানোসহ সব কিছুই করা হয় দেশীয় ব্যবস্থাপনায়।
দাম সম্পর্কে আমিনুল বলেন, ‘দাম ক্রেতা ও বিক্রেতার উপর নির্ভর করে। তবে আমি প্রথমে ২৮ লাখ টাকা দাম চাইলেও করোনার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত ২৩ লাখ টাকা চাচ্ছি। গতবছর কুরবানির ঈদে রাজধানীর গাবতলীতে নিয়ে গেলে ন্যায্য দাম না পেয়ে বিক্রি করিনি। এ বছর সঠিক দাম পেলে বিক্রি করব।’
নকলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমার জানা মতে, দেশীয় জাতের ষাঁড়টি ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে আসল দেশি ষাঁড়। ষাঁড়টিকে সম্পূর্ণ দেশি খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে। দেশি জাতের এমন আকৃতির ষাঁড় খুব একটা নজরে পড়ে না।’
সুত্রঃ জাগো নিউজ