বাকৃবিতে নতুন জাতের হাঁস উদ্ভাবন, বাৎসরিক ডিমের উৎপাদন প্রায় ২৬০ টিবাকৃবিতে নতুন জাতের হাঁস উদ্ভাবন, বাৎসরিক ডিমের উৎপাদন প্রায় ২৬০ টি

নিউজ ডেস্কঃ
বাউব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট (BAU Black and White) নামের একটি অধিক উৎপাদনশীল সংকর জাতের হাঁস উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এর পশুপালন অনুষদের একদল গবেষক। অধিক মাংস ও বাৎসরিক প্রায় ২৬০ টি ডিম উৎপাদনের পাশপাশি এই উদ্ভাবিত হাঁসের গড় ওজন ২.২-২.৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে বলেও জানান গবেষকরা।

এই নতুন জাতের হাঁস উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেন পশুপ্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামছুল আলম ভূঁঞা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাংস উৎপাদন ক্ষমতা আমদানীকৃত পেকিন জাতের প্রায় সমকক্ষ। বার্ষিক ডিম উৎপাদন ২৫০-২৬০ টি। দেশীজাতের সাথে সংকরায়নের ফলে উদ্ভাবিত হাঁসটি আমাদের দেশের জলবায়ূ ও আবহাওয়া উপযোগী এবং রোগবালাই অনেক কম। হাঁসের মাংসের জন্য এটি একটি সম্ভাবনাময় সংকরজাত যা প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদা লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি জানান।

ড. মোহাম্মদ সামছুল আলম অভিযোগ করে বলেন, বাউব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট বাকৃবি, ময়মনসিংহ থেকে উদ্ভাবিত একটি সংকর জাতের হাঁস। সুতরাং এর স্বত্ত্ব শুধুমাত্র বাংলাদেশ কৃষিবিদ্যালয়ের, অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নয়। গবেষণা কার্যক্রমের এ দীর্ঘ পরিক্রমায় নিষিক্ত ডিম ও ১ দিন বয়সের বাচ্চার মাধ্যমে উদ্ভাবিত এ সংকর জাতের হাঁসটি অনুমতি ছাড়াই খামারীদের নিকট চলে যায় এবং তাদের দেয়া মনগড়া কাকলী, ব্লাক হোল ইত্যাদি নামকরন করে বাজারজাতকরনের জন্য বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালায় যা গবেষকদলের নজরে আসে। এটা অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত এবং কপিরাইট বা পেটেন্ট আইনের সম্পূর্ণরূপে পরিপন্থি বলে জানান গবেষকদলটি।

এই গবেষণা প্রকল্পের সহযোগী গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ শওকত আলী বলেন, প্রান্তিক খামারী পর্যায়ে লালন-পালন লাভজনক করার লক্ষ্যে ২০১৪ সাল থেকে অধিক মাংস ও ডিম উৎপাদনকারী হাঁসের জাত তৈরীর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাউব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট জাতটি উদ্ভাবিত হয় যা কৃষক পর্যায়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা যায়, অদ্যাবদি কোনো খামারী বা হ্যাচারী মালিকের সাথে উক্ত সংকরজাতের হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন এবং বিপণন সংক্রান্ত কোনো ধরনের দায়িত্ব প্রদান বা চুক্তি করা হয়নি। তাছাড়া উদ্ভাবিত সংকর জাতের হাঁসের কৌলিক বৈশিষ্ট্যাবলী নিরুপন, জিন ফিক্সেশন ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিজ্ঞান ভিত্তিক কার্যাবলী সম্পন্নের জন্য অধিকতর গবেষণা প্রয়োজন। জাত উদ্ভাবনের সকল প্রক্রিয়া সমাপনান্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন স্বাপেক্ষে জাতটি খামারী পর্যায়ে যথাসময়ে হস্তান্তর করা হবে।
সূত্রঃ সবুজ বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *