মোঃ মিজানুর রহমান,বাগাতিপাড়া,নাটোর প্রতিনিধি।

বাগাতিপাড়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কলা চাষিরা। কিন্তু উপজেলা কৃষি বিভাগ আর্থিক ক্ষতির সঠিক পরিমান না জেনে তথ্য প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হন কলা চাষিরা। তাদের দাবী ঘরে বসে ক্ষতির পরিমান দেখিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এতে কৃষক বান্ধব সরকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মূল্যায়ন করতে বাধা গ্রস্থ হবে ।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মতো বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সালাইনগর এলাকায় প্রায় ২২ একর জমিতে কলা চাষ করনে স্থানীয় কৃষক। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে প্রায় ১৪ একর জমির কলা গাছ ক্ষতি গ্রস্থ হয়। আর এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪ কোটি টাকা। কিন্তু কলা চাষিদের ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ। কৃষকের দাবি মাঠ পর্যায়ে কৃষকের সাথে কথা না বলে এবং কোন প্রকার খোঁজ খবর না নিয়ে মনগড়া ভাবে ঘরে বসে ক্ষতির পরিমান দেখিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এতে কৃষক বান্ধব সরকারের ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের মূল্যায়ন করতে বাধা গ্রস্থ হবে বলে জানান তারা। কৃষক সাইফুল ইসলাম,আব্দুল লতিব, রাহেল আলীসহ স্থানীয় কলা চাষিরা জানান, অধিকাংশ কৃষক অন্যের জমি লিজ নিয়ে, ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন নিয়ে কলার বাগান তৈরি করেছে। অনেক পরিশ্রমের ফসল কলা বিক্রি করে ঋন শোধ করে কিছু লাভের মুখ দেখবে ঠিক তখনি প্রাকিতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে সাধারন কৃষক। আর এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সরকারি সহযোগীতা ছাড়া অসম্ভব হয়ে পড়বে সাধারন কৃষকদের।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, কলা চাষিদের ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন তারা। ক্ষতির সঠিক চিত্র জানতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিস থেকে কাউকে পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সঠিক জবাব দেননি। তবে ওই দিন বিকেলে কলা চাষিদের খোজ খবর নিতে কৃষি অফিস থেকে একজনকে পাঠানো হয়ে ছিল এমনটি তিনি পরে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *