আসছে শীত, বাজারে নতুন নতুন সবজির আমদানি তার পরেও বাজার ক্রেতা শূন্য। বিক্রেতারা বলছেন, দাম চড়া হওয়ায় বাজারে ক্রেতা কম এবং কেনা-বেচাও কম।
রোববার (৩ অক্টোবর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজার, মহারাজপুর বাজার, রাণীহাটি বাজার ও শিবগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়, প্রতি পিস পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়, প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায় এবং প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়।
বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- তৈল ও পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৫-৭ টাকা করে বেড়েছে। কাঁচামরিচ এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ৮০ টাকা থাকলেও এখন ১৪০ টাকা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ টাকা বেড়েছে কাঁচামরিচ এর দাম। বেড়েছে দেশী ও বয়লার মুরগির দাম। তবে চাল, ডাল, গরুর মাংসসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশিদ বলেন, আমি রাজশাহী থেকে সপ্তাহে দুইবার পাইকারি মূল্যে সবজি কিনে নিয়ে আসি। আনতে খরচ হয় প্রায় ৭’শ-৮’শ টাকা। তবে ৩৫০ টাকার সবজি বিক্রি করায় যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শীতের আগাম সবজি তাই দাম একটু চড়া। এক থেকে দুই সপ্তাহ পর বাজার সবজিতে ভরপুর থাকবে। তখন দাম কমতে শুরু করবে। তখন কেনা-বেচাটাও ভালো হবে।
কথা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা মো. জিয়াউর এর সাথে। তিনি বলেন, সবজির দাম উর্ধ্বোমূখী হওয়ায় কেনা-বেচা কম হচ্ছে। পেটের দায়ে সীমিত লাভ করে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দাম বেশি হলেও নতুন সবজি গুলোর চাহিদা অনেক।
একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. লালবাবু বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ে। তবে এ সপ্তাহে শীতের আগাম সবজি আসায় দাম বেশ চড়া। এ সপ্তাহে অন্য সবজিও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কেন দাম বাড়ে, তা দেখার যেন কেউ নেই। বিক্রেতারা যে দাম চাচ্ছেন সেই দামেই পণ্য কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছের বাজারে স্বস্তি বিরাজ করছে। সব রকম মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
সুত্রঃ বার্তা২৪.কম