বাজার থেকে আনা শাক-সবজি জীবাণুমুক্ত করবেন যেভাবেবাজার থেকে আনা শাক-সবজি জীবাণুমুক্ত করবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্কঃ
কোভিড-১৯-এর হাত থেকে রেহাই পেতে সচেতনা হওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিনকার কাঁচা বাজারের সঙ্গেও কিন্তু ঘরে ঢুকতে পারে করোনা। সেজন্য কেউ কেউ বাজার করে এনে তা দিন দুয়েক বাড়ির এক কোণে ফেলে রাখেন। কেউ আবার শাক-সবজি গরম পানিতে ধুয়ে তা খাওয়ার যোগ্য করে তোলেন। কিন্তু ভাইরাস থেকে সবজিকে দূরে থাকার পদ্ধতি নিয়ে অনেকেরই ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া এই সম্পর্কিত একটি গাইড লাইন প্রকাশ করেছে।

প্রথমেই জানা প্রয়োজন করোনা মহামারির এই সময়ে কেন ফল ও সবজি ভালভাবে পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রথমত, স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে তবেই ভিতর থেকে শক্তিশালী থাকতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, ভেজা স্থানেই সাধারণত ব্যাকটিরিয়ার বাস। বাজারের পরিবেশটাও তেমন। তাই তা বাড়ি এনে ধোয়া জরুরি। তৃতীয়ত, বাজারের নানা জনের হাতের ছোঁয়া লাগছে ফলমূল, শাক-সবজিতে। কার থেকে কী জীবাণু চলে আসে বোঝার উপায় নেই। তাই সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর আপনাকে সাহায্য করতে তাই বাড়িতে ফলমূল-সবজি ধোরায় ক্ষেত্রে মূলত পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

যে ব্যাগ কিংবা প্যাকেটে করে সবজি বাজার থেকে কিনে আনছেন, আগে সেটিকে জীবাণুমুক্ত করুন। প্যাকেট সমেত সবজি বাড়ি এনেই ফ্রিজে ভরে ফেলবেন না। তাতে অনেক জীবাণু থেকে যেতে পারে।

প্রতিটি ফল ও সবজি আলাদা করে ভালভাবে পানি দিয়ে ধোবেন। সম্ভব হলে ৫০ পিপিএম ক্লোরিন ড্রপ পানিতে মিশিয়ে তাতে খানিকক্ষণ সবজিগুলো ভিজিয়ে রাখতে পারেন।

যে পানিতে ফল ধোবেন তা যেন অবশ্যই পরিষ্কার হয়। খুব ভাল হয় খাবার পানি ব্যবহার করলে। জীবাণুনাশক পদার্থ কিংবা ক্লিনিং ওয়াইপ অথবা সাবান দিয়ে ভুলেও শাক-সবজি-ফল ধোবেন না। ধোয়ার পর সবজিগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবে না।

বাজার থেকে ফিরে জুতা বাড়ির বাইরেই রাখুন। বাড়িতে ঢুকেই হাত না ধুয়ে কোনও জিনিসে হাত দেবেন না।

২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন। বাজারের পোশাকও এসেই খুলে ফেলতে হবে। বাইরে যাওয়ার পোশাকের জন্য একটি আলাদা ব্যাগ রাখুন। যাতে সেখানেই তা রাখতে পারেন। সাবান পানি অথবা অ্যালকোহল-যুক্ত সলিউশন ও পানি দিয়ে বাজারের প্যাকেট বা ব্যাগকে জীবাণুমুক্ত করুন। যেখানে ব্যাগটি রেখেছিলেন, সেই সিঙ্ক বা মেঝে অবশ্যই ভালভাবে ধোবেন। প্রয়োজনে সবসময় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
সুত্রঃ ঢাকাটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *