বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেইবাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই

নিউজ ডেস্ক
শিগগিরই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পণ্যমূল্য স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার দায়িত্বে থাকা এ মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজেরও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। উৎপাদনকারী কৃষকও পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তাই পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। যদিও দু’দিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম এক লাফে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। এরপর চীন, তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করে সরকার।

এরই মধ্যে কয়েকশ ব্যবসায়ী কয়েক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন। রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ৩০ টাকা কেজি দরে ট্রাকে করে রাজধানী, বিভাগীয় ও জেলা শহরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। আমদানির ওপর থাকা ৫ শতাংশ শুল্ক্কও প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার ও প্রধান প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলায়ও অভিযান চালিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। এতে পেঁয়াজের দাম খানিকটা কমে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

কিন্তু দু’দিন ধরে হঠাৎ করেই আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির গতকালের বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টিসিবির ট্রাক ও অনলাইন বিক্রির আওতা আরও বাড়ানো হবে। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ, পরিবহনসহ সব ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ দেশব্যাপী স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে বাজার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। বাজারে এসব পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে প্রচলিত আইনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ সমকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *