বিষ দিয়ে বীজতলায় শত্রুতাবিষ দিয়ে বীজতলায় শত্রুতা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ‘শত্রুতাবশত’ আগাছানাশক ওষুধ ছিটিয়ে কৃষকের বোরো ধানের বীজতলা জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার হাইল হাওরের পূর্বপাড়ে ইছবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ইছবপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “প্রায় দেড় বিঘা জমির বীজতলা (হালিচারা) জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জমির আশপাশের ঘাসও মরে গেছে। এখানে কেউ ঘাস মারার ওষুধ স্প্রে করেছে। এ হালিচারা আর কাজে আসবে না।”

“এই হালিচারা দিয়ে প্রায় ৬০ বিঘা জমির বোরো ধান চাষ করা যেত। অনেক ক্ষতি হল”, যোগ করেন কৃষি কর্মকর্তা।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাহাজাহান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে বলেন, ইছবপুরের প্রান্তিক কৃষক প্রশান্ত দেব, সাধন শুল্ক বৈদ্য, কনা বাদ্যকর, জগাই বাদ্যকর ও পাশের খাইছড়া চা বাগানের জয়রাম প্রজাপতি- এই পাঁচজন মিলে একসঙ্গে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছিলেন। বুধবার জমিতে গিয়ে দেখা যায়, কে বা কারা বীজতলায় আগাছানাশক ওষুধ স্প্রে করে সব হালিচারা নষ্ট করে দিয়েছে।

ইছবপুর গ্রামের বাসিন্দা বিভাস দেব ও মো. পাশা মিয়া বলেন, কারোর তো একসঙ্গে অনেকগুলো পরিবারের সঙ্গে পূর্বশত্রুতা থাকার কথা না। তাছাড়া একই পাশে একই গ্রামের আরেকজন কৃষকের বীজতলা অক্ষত রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রশান্ত দেব জানান, তাদের কষ্টের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এখন পথে বসতে হবে। ধারদেনা করে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। এই বীজতলা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন চাষি জমি করতে পারত।

ক্ষতিগ্রস্ত জয়রাম প্রজাপতির নিজের কোনো জমি নেই। তিনি পরের জমি বর্গাচাষ করেন। সেই জমির জন্যই এই বীজতলায় তিনি শরিক হয়েছিলেন।

তিনি হতাশায় বলেন, “এখন জমির মালিককেই কী বুঝ দেব আর নিজের খোড়াকিই (সারা বছরের খাবার) কিভাবে আসবে।”
তবে এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়। তিনি দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সুত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *