বেতাগীতে উঁকি দিয়েছে খেসারি বোনা হাজারো প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্নবেতাগীতে উঁকি দিয়েছে খেসারি বোনা হাজারো প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন

সাইদুল ইসলাম মন্টু, বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে ক্ষতিগ্রস্থ খেসারি বোনা প্রান্তিক চাষিদের মাঝে উঁকি দিয়েছে সোনালী স্বপ্ন। ফলে নতুন আশায় বুক বেধেছে তাঁরা।

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে ধান, সবজির পাশাপাশি খেসারিবুনাক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যায়। কৃষকের কান্না হয়ে ঝড়ে যাওয়া অসময়ে এ বৃষ্টির কারণে ডুবে যাওয়া খেসারিবুনা জমিগুলোর ধানের খড়ের মধ্যে এখন বীজ অঙ্কুরিত হয়ে দিনে দিনে উঠে দাঁড়াচ্ছে খেসারি গাছগুলো। আশেপাশে ছড়াচ্ছে তার লতা ও পাতা। উপজেলার প্রায় দেড় হাজার প্রান্তিকচাষি এতদিন মহাদুশ্চিন্তায় কাটাচ্ছিল সেখানে আজ তাদের মাঝে খুশীর আমেজ বইছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খেসারিবুনা যেসব জমি বৃষ্টির পানিতে মাটিতে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। সেইসব জমির ধান কেটে নেওয়ার পর মাঠে মাঠে এখন বীজ ফুটে উঠে দিন দিন দাঁড়াচ্ছে খেসারিগাছ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌসুমে প্রায় ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে খেসারিরবুনা হয়। কিন্ত জাওয়াদে আবাদকৃত সব খেসারিক্ষেত আক্রান্ত হয়। চাষিদের দেওয়া তথ্য মতে, এবারে প্রতিকেজি ৪০ টাকা দরে করে ক্রয় করে ধানি জমির ভেতরে তাঁরা খেসারি বুনেন।

একাধিক খেসারি চাষী জানান, অধিক লাভের আশায় ধানি জমিতে খেসারি বুনেন। বন্যার কারণে পানিতে ডুবে থাকায় খেসারি ক্ষেত অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কিন্ত মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় নতুন করে গাছগুলো জেগে উঠেছে।

বেতাগী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কৃষক মো: ফরিদ হোসেন বলেন, ধার-দেনা করে ধানি জমিতে খেসারি বুনে এতদিন ক্ষতির মুখে ছিলাম। এখন যদি দেনা শোধ করা যায়। শুধূ এরাই নয়, কথা হয় আরও একাধিক চাষির সঙ্গে। সকলের মাঝেই আনন্দ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি অফিসার মো: ইকবাল হোসেন জানান, অসময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে খেসারির যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল তা কাটিয়ে ওঠা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে ছিল কিন্ত এখন ক্ষেতের অবস্থা দেখে এসব চাষিরা মহাখুশী।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *