সাইদুল ইসলাম মন্টু বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতেও বিশ্ব খাদ্য দিবসে দেশের সকল নাগরিকের জন্য জীবিকার নিশ্চয়তা এবং খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবিতে শোভাযাত্রা, আলোচনাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ধ্রবতারা ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (উণউঋ)ও খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), বাংলাদেশ এর আয়োজনে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ধ্রবতারার উপদেষ্টা সাইদুল ইসলাম মন্টু‘র সভাপতিত্বে এতে অনলাইনে সংযুক্ত প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা 2 আসনের এমপি আলহাজ্ব শওকত হাচানুর রহমান রিমন
এর উদ্বোধন করেন,বেতাগী পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ এবিএম গোলাম কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অনলাইনে সংযুক্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সুহৃদ সালেহীন। সূচনা বক্তব্য দেন, ধ্রবতারা ইয়ূথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অমিয় প্রাপণ চক্রবর্তী অর্ক।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অলি আহমেদের সঞ্চালনায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রেজাউল কবীর জুয়েল, এতে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও সুপারিশ ব্যক্ত করেন, হোসনাবাদ ইউ,পি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা-আল –রাজী, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মোস্তফা, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক মাসুদ সিকদার, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মিজানুর রহমান মজনু, সাংবাদিক আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, মো: শামীম সিকদার, প্রভাষক আবুল বাশার খান, স্বপন কুমার ঢালী, যুবলীগের সভাপতি প্রভাষক জহিরুল ইসলাম লিটন, এনজিও প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি সঞ্জয় হালদার, দিপক কুমার গুহ, কৃষক নেতা সেলিম খান, সহকারী যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা সুলতান হোসেন, শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং ধ্রবতারার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা মিশু তুম্পা, বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহরিয়া রিজভী, বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মো: রাসেল রানা ও সহ সভাপতি মিঠুন দে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্যকে জীবনধারণের মৌলিক চাহিদা হিসাবে চিহ্নিত করা হলে ও ২০১৯ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৩ তম অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে গবেষকরা বলছে, করোনা মহামারী লকডাউন সময়ে দেশের প্রায় ৯৮.৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৮৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্কটে ভুগেছে। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের পরিবারগুলোর আয় ২০.২৪ শতাংশ কমেছে। তাই দেশের সকল মানুষের জীবিকা, সংস্কৃতি ভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য এখনই জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার ভলেন্টারি গাইডলাইনের আলোকে দেশে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।
এই আইন প্রণীত হলে সকল মানুষের খাদ্য ক্রয়ের জন্য আয়, খাদ্যের যোগান এবং সংস্কৃতি ভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের আইনী বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ সালে খাদ্য অধিকার বিষয়ক আইন প্রণয়নের বিষয়ে প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করলে ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়গুলো থেকে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি।
তাই সকল মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টিনিশ্চিত করতে বিশ্ব খাদ্য দিবসে এই কর্মসূচির মাধ্যমে অনতিলম্বে খাদ্য অধিকার প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে খানি সদস্য, ধ্রবতারা‘র সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, যুব সমাজ, সাংষ্কৃতিককর্মী, নারী কৃষকদের প্রতিনিধি ও উন্নয়নকর্মী অংশ গ্রহন করে।