বেতাগীতে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন বেতাগীবেতাগীতে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন বেতাগী

সাইদুল ইসলাম মন্টু ,(বরগুনা) প্রতিনিধি

উপকুলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে জলাশয়ে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন। খাল-বিল ও জলাশয়ে কারেন্ট জাল, সূ² ফাঁসের বেহুন্তি জাল, মশারিনেটসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে নির্বিচারে পোনা নিধনের কারণে হারানোর পথে এই অঞ্চলের মিঠা পানির প্রায় নানা প্রজাতির মাছ। এ ধারা অব্যহত থাকলে শিঘ্রই এর বিলুপ্তি ঘটবে এমনই আশঙ্কা স্থানীয়দের।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় নদ-নদী, খাল-বিলে প্রাকৃতিক উৎসে অবৈধ জাল ব্যবহার করার ফলে যেমনি মাছ নিধন হচ্ছে, তার সঙ্গে কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার, কীটনাশক মাটি চুইঁয়ে জলাভূমিতে মিশে যায়। এতে প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে কমে যাচ্ছে উৎপাদন। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দিয়ে খাল ভরাট করা, প্রজনন মৌসুমে পানি কমে যাওয়া, খালের সুইজগেট মুখে ক্ষতিকর জাল ব্যবহার এবং আবাসস্থল পুরোপুরি শুকিয়ে ফেলায় পোনা ধ্বংস করার ফলে এখানের মিঠা পানির শতাধিক প্রজাতির মধ্যে অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে প্রায় ২০ প্রজাতির মাছ। এছাড়াও মৎস্য অধিদপ্তরের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে দেশি প্রজাতির প্রায় ৯১টি মাছ।

উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুর রব সিকদারসহ স্থানীয়রা জানায়, দেশীয় প্রজাতির মাছ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রাকৃতিকভাবে মাছ উৎপাদনের জন্য অতিমাত্রায় মাছ আহরণ বন্ধ, অপরিকল্পিতভাবে বেড়ি বাঁধ, রাস্তাঘাট, ¯সুইজগেট নির্মাণ,নদী-খাল দখল, মাছের আবাসস্থল ধ্বংস বন্ধ, কীটনাশক ব্যবহারে জলজ পরিবেশ দূষণ, বিদেশি মাছের চাষাবাদ ও জলাভূমি ভরাট বন্ধ, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জৈবিক প্রভাব বিবেচনা না করা এবং মিঠা পানির মাছের প্রজনন স্থানগুলো নির্বিঘনো রাখা প্রয়োজন।

মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম সুজন বলেন, তা না হলে এ ধারা অব্যহত থাকলে দেশীয় প্রজাতির মাছের খুব শিঘ্রই বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে।

তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: কামাল হোসেন জানান, এ জন্য মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। সে আলোকে কাজ করছেন তারা। তবে আশার কথা এর মধ্যে কিছু কিছু প্রজাতির মাছ ঘেরে চাষের ফলে কিছুটা হলেও উৎপাদনের ধারা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *