বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদনবেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন

নিউজ ডেস্কঃ
বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে চার লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন পেয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় এক আদেশে ৭২টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক লাখ ৪১ হাজার টন চাল আমদানির এই অনুমোদন দিয়েছে।

আগের দিন ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।

সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হলো বেসরকারি খাতে।

চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত মাসে বেসরকারি খাতে আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করে সরকার। গত ২৭ ডিসেম্বর চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আগ্রহী আমদানিককারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১০ জানুয়ারির মধ্যেই মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র জমা দিয়ে অনুমোদন নেয়ার নির্দেশ দেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এর বাইরে সরকারি পর্যায়ে রেশনিং, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও অন্যান্য প্রয়োজনে আমদানি করা হচ্ছে চার লাখ টন চাল।

বেসরকারি আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে শর্ত দেয়া হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যু করার সাত দিনের মধ্যে এলসি খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) খাদ্যমন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ইমেইলে জানাতে হবে। সর্বোচ্চ ৫ হাজার টন আমদানির বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে সব চাল বাজারজাত করতে হবে। ১০ হাজার টন বরাদ্দপ্রাপ্তরা এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল বাজারজাত করবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি বা ইমপোর্ট পারমিট জারি করা যাবে না।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকারি গুদামগুলোতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৭ দশমিক ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে চাল ৫ দশমিক ৩১ লাখ টন এবং গম ১ দশমিক ৮৯ লাখ টন। চালের মজুদের এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

আমনের ভরা মৌসুমেও এখন বাজারে প্রতিকেজি মোটা চালের দাম উঠেছে ৫০ টাকার বেশি। আর সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়।

আড়তদার ও মিলাররা মিলে ‘কারসাজি করেই’ চালের দাম বাড়াচ্ছেন বলে গত মাসে এক অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

সুত্রঃনয়া দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *