ব্রিডিং পদ্ধতিতে দেশী জাতের ধান উদ্ভাবন, একরপ্রতি উৎপাদন ৫০ মনব্রিডিং পদ্ধতিতে দেশী জাতের ধান উদ্ভাবন, একরপ্রতি উৎপাদন ৫০ মন

নিউজ ডেস্কঃ
ব্রিডিং পদ্ধতিতে দেশি জাতের ধান উদ্ভাবন করে চমক সৃষ্টি করেছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চাটকিয়া গ্রামের কৃষক সেন্টু চন্দ্র হাজং। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান উৎপাদন হয় একরপ্রতি ৫০ মন। ইতোমধ্যেই এই ধানটি স্থানীয় চাষি পর্যায়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

সেন্টু হাজং জানান, বেসরকারি সংস্থা কারিতাস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেই ব্রিডিং পদ্ধতিতে নতুন জাতের এ ধান উদ্ভাবন করেন। এক একর জমিতে ট্রায়ালও দিয়েছেন। আপাতত এ ধানের নাম রেখেছেন ‘সেন্টু শাইল’। তিনি এই ধান ছাড়াও আরও ২০ টি জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। বর্তমানে তিনি পারিজাত, আপচি, কাইশাবিন্নি, মারাক্কাবিন্নি, শংবিন্নি, দুধবিন্নি, বিরই, চাপাল, বগি, হালই, গোলাপী, মালঞ্চি, ময়নাগিড়ি, মালসিরা, অনামিয়া,, খাসিয়াবিন্নিসহ বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জাতের ধান নিয়ে কাজ করছেন।

তিনি আরো জানান, দেশি জাতের এ ধানে কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। একটু-আধটু পোকার আক্রমণ হলে নিমপাতা, বাসকপাতা পানিতে ভিজিয়ে ফুটিয়ে মেশিনের সাহায্যে জমিতে স্প্রে করেন। প্রতি একর জমিতে ৪০-৫০ মণ ধান উৎপাদন হয়।

একই গ্রামের কৃষক বিলাল হোসেন জানান, তিনি সেন্টু হাজংয়ের কাছ থেকে ‘সেন্টু শাইল’ জাতের ধানের বীজ নিয়ে আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, সেন্টু চন্দ্র হাজং প্রতি বছরই দেশি জাতের ধান নিয়ে কাজ করছেন। তার উদ্ভাবিত ‘সেন্টু শাইল’ ধানের বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। এই জাতের ধানে রোগ বালাই কম। এটি দেশের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে বলেও তিনি জানান

সূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *