নিউজ ডেস্কঃ
ভারত থেকে প্রায় ৩৪ টাকা কেজি দরে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী বা সিদ্ধ চাল কিনবে বাংলাদেশ সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। এ সংক্রান্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর আগে সরকার ভারত থেকে আরও এক লাখ টন চাল কিনেছে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) অনলাইনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ চাল কেনা হবে। ভারতের বীরভূমের ‘এমএসপিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড’ এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯৭ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে প্রতি কেজি চালের মূল্য পড়বে ভ্যাট ছাড়া ৩৩ টাকা ৭২ পয়সা।
আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এর আগে গত ৩ ও ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে জন্য ৫০ হাজার করে এক লাখ টন নন-বাসমতী বা সিদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকার। তখন প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয় যথাক্রমে ৩৪ টাকা ২৮ পয়সা এবং ৩৫ টাকা ২৭ পয়সা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, গত মঙ্গলবার সরকারি গুদামে ৫ লাখ ৩৬ হাজার টন চাল ছিল। অথচ গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১০ লাখ ৬৬ হাজার টন। ফলে চালের মজুদ দ্রুত কমছে।
আর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব মতে, গত মঙ্গলবার ঢাকায় মোটা চাল ৪৬ থেকে ৫০ টাকা, মাঝারি চাল ৫৩-৬০ টাকা ও সরু চাল ৬০-৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। চালের বাড়তি দামের কারণে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারি খাতে চাল আমদানিতে করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়।
সুত্রঃ বার্তা২৪.কম