মাচায় টমেটো চাষ করে মুখে হাসি চাষীদেরমাচায় টমেটো চাষ করে মুখে হাসি চাষীদের

নিউজ ডেস্কঃ
প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে ডুমুরিয়ায় মাচায় টমেটো চাষ করছেন কৃষকরা। চাহিদা এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন এখানকার চাষিরা টমেটো চাষে ঝুঁকছে। এ বছর ৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, টমেটো একটি উচ্চ মূল্যের ফসল। এক বিঘা জমিতে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ৪ থেকে ৫ মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি লাভ করা যায়। টমেটোর চারার বয়স ২৫ দিন হলে মূল জমিতে লাগানো হয় এবং ২০ থেকে ২৫ দিন পর তাতে ফুল আসা শুরু করে। রোপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর থেকে ফল পাওয়া যায়। একটি গাছে প্রায় ৩০ টাকা খরচ করে প্রায় ৫ থেকে ৬ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

এখানে মঙ্গল রাজা, লাভলী, মিন্টু সুপার, বারি হাইব্রিড-৪, বারি হাইব্রিড-৮ ইত্যাদি জাতের টমেটোর আবাদ হয়েছে। সার, বীজ, প্রশিক্ষণ এবং মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

মাচায় টমেটো চাষী রবিউল ইসলাম বলেন, শ্রাবণ মাসে তিনি জমিতে টমেটোর চারা রোপন করেন। তার ১০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করতে বীজ, সার, সেচ, বাঁশ, শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৩ মাসে লাভলী জাতের টমেটোর গাছ থেকে পাকা টমেটো উঠতে শুরু করেছে। ক্ষেতে মাচা তৈরি করেছেন তিনি। ৩ বছর ধরে মাছের ঘেরের পাড়ে টমেটো চাষ করছেন। এবার খরচ একটু বেশি হলেও এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, উপজেলায় বেশি টমেটোর আবাদ হয়েছে ধামালিয়া, খর্নিয়া এবং গুটুদিয়া ইউনিয়ন। মাচায় টমেটো চাষে গাছ খাড়া থাকে ও জৈব সার ব্যাবহার করায় টমেটোর ফলন ভাল হয়। দেশের বড় মার্কেট ও মলগুলোতে মাচায় চাষ করা পাকা টমেটোর চাহিদা বেশি। কৃষকরা দামও ভাল পায়। এতে কৃষকেরা লাভবান বেশি হয়।

তিতি আরো বলেন, যারা মাচায় টমেটো চাষ করেছে তাদের প্রশিক্ষণ এবং ক্ষেত পরির্দশন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিক্রিতে সহজ এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন টমেটোর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
সুত্রঃ নয়া দিগন্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *