নিউজ ডেস্কঃ
খুলনার ডুমুরিয়ায় কৃষক মিলটন রায় ও বিশ্বজিৎ রায়ের মাছের ঘেরের পাড়ে মাচার উপড়ে ঝুলে রয়েছে অসংখ্য তরমুজ। ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটছে হাসি। ফলে দিনে দিনে খুলনায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাচা পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ।
বাঁশ ও নাইলনের সূতা দিয়ে তৈরি মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের এ দৃশ্য এখন খুলনাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার। জেলার বটিয়াঘাটা, বাগেরহাট সদর, ডুমুরিয়া, মোল্লাহাট ও পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ হচ্ছে।
ঘেরে মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পতিত আইলের নোনা মাটিতে তরমুজ চাষ করে ভাগ্য বদল করেছেন এই এলাকার কৃষক। নোনা মাটিতে বর্ষাকালীন এ তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প সূত্র জানায়, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট গ্রীষ্মকালীন তরমুজের পাশাপাশি বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গত বছর খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার তিন কৃষক প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেন।
কৃষকেরা বলেন, গত ১ জুন বর্ষাকালীন তরমুজের বীজ বপন করা হয়। যা ১৩ আগস্ট থেকে কাটা শুরু করেছেন তারা। প্রথম পর্যায়ে তরমুজ কাটা শেষ হলে তারা দ্বিতীয়বার বীজ বপন করবেন। শীত পড়লে আবার ফল কাটা হবে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের এসআরডিআই’র পরিচালক শচীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষ করায় বর্ষাকালে সেচের প্রয়োজন হয় না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায়। এতে করে কৃষকরা আইপিএম পদ্ধতিতে ফসল আবাদ করছেন। ফলে পোকা মাকড়ের আক্রমণও হচ্ছে কম।
সূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার