মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর যাচ্ছে ১০৫০ মেট্রিক টন বাঁধাকপিমালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর যাচ্ছে ১০৫০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি

নিউজ ডেস্কঃ
দুর্দিন ঘুচতে চলেছে বগুড়ার বাঁধাকপি চাষিদের। আলুর পর এবার মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরে রফতানি হচ্ছে এ জেলার বাঁধাকপি। রফতানি শুরু হওয়ায় বাঁধাকপিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে কয়েকশ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজি বাজারখ্যাত মহাস্থানহাটে যে বাঁধাকপি ২-৫ টাকায় বিক্রি হতো, সেটা এখন দাঁড়িয়েছে ১২ টাকায়। একই কপি রফতানিকারকরা কিনছেন ১৫-১৬ টাকায়। এতে কৃষকও ভালো দাম পাচ্ছেন।

সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বাঁধাকপি পাঠানোর উদ্যোক্তা শিবগঞ্জ উপজেলার মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাগর হোসেন। দুই দেশে প্রায় এক হাজার ৫০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি পাঠানোর জন্য তিনি এরই মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কপিসহ অন্যান্য সবজি বিদেশে পাঠাতে বিশেষ প্যাকেজিং কাজের জন্য নিজ বাড়িতেই ব্যাগ তৈরির কারখানা স্থাপন করেছেন সাগর। সেখানে কাজ করছে কয়েকশ নারী-পুরুষ।

বাঁধাকপি রফতানিকে ঘিরে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে, কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েকশ নারী-পুরুষের
বাঁধাকপি রফতানিকে ঘিরে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে, কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েকশ নারী-পুরুষের

মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত বাঁধাকপি জমি থেকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাচ্ছেন। সেগুলো একদিকে প্যাকেজিং হচ্ছে, অন্যদিকে গাড়িতে তোলা হচ্ছে।

সাগর হোসেন জানান, ২০১৪ সাল থেকে তিনি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আলু রফতানি শুরু করেন। মাঝে বাঁধাকপি রফতানিতে উদ্বুদ্ধ হন। এর আগে তিনি বছরে ৬-১০ কন্টেইনার (প্রতি কন্টিনিয়ার বাঁধাকপির ওজন প্রায় ২ মেট্রিক টন) পাঠিয়েছেন। এবার দেশ দুটিতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আগাম ৫০ কন্টিনিয়ার কপি পাঠাতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সাগর হোসেন।

তিনি আরো জানান, এ বছর সোয়া দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার বাঁধাকপি বিদেশে পাঠাবেন (প্রতি কন্টেইনারে সাড়ে চার লাখ টাকার কপি যাবে)। এতে কৃষকদের লাভের পাশাপাশি প্যাকিং ও পরিবহন কাজে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার জানান, এবার এ উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি ও ৩০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৩২ মেট্রিক টন হিসেবে ৩০০ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি উৎপাদন হবে। বাঁধাকপি রফতানি শুরু হওয়ায় কৃষকদের কষ্ট কমেছে। এখন আর তাদের হাঁটে হাঁটে ঘুরতে হচ্ছে না। বিষমুক্ত বাঁধাকপি উৎপাদন করে ভালো লাভ পাচ্ছেন তারা।

শিবগঞ্জের ইউএনও আলমগীর কবির জানান, আলুর পর এবার বাঁধাকপি বগুড়ার সুনাম বাড়াবে। বাঁধাকপি রফতানিতে এ অঞ্চলে নতুন অর্থনীতির দ্বার উন্মোচিত হবে। কৃষকদেরও দুর্দিন ঘুচবে।

সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *