যশোরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ, স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরাযশোরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ, স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা

নিউজ ডেস্কঃ
যশোরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভাবিত আপেল কুল, বাউকুল, ঢাকা-৯০, নারিকেল কুল, নাসিম টক কুল, থাইকুল, বলসুন্দরি কুল, সিডলেস কুল, কাশ্মীরি জাতের কুল। ইতোমধ্যে কুল চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন যশোরের শার্শা উপজেলার প্রায় ৫০০ নারী ও পুরুষ। এছাড়াও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে চাষির সংখ্যা।

বাগআঁচড়া মাঠপাড়া গ্রামের ইউনুস আলী (৪৫) কুলচাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন, যা অন্যদের অনুপ্রাণিত করে। একটি কুলবাগান থেকে করেছেন তিনটি বাগান। গোটা বাগানজুড়ে নাসিম টক, থাই, ঢাকা-৯০, বলসুন্দরি, কাশ্মীরি, আপেল ও নারকেল কুল ধরেছে। ফলের ভারে স্বল্প উচ্চতার গাছগুলো নুইয়ে পড়ছে। নাসিম টককুলের বিক্রি শেষ। নারকেল, বলসুন্দরি ও থাইকুল পুষ্ট হয়ে গেছে, আকারেও বড়। আপেল কুল এখনও পুরোপুরি পুষ্ট হয়নি। এগুলোর বর্ণ অনেকটা বাদামি ও খয়েরি রঙের মিশেল।

ইউনুস জানান, বিঘাপ্রতি সব মিলিয়ে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর ফলন পাওয়া যায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। এ বছর তার ১১ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে তিন লাখ টাকার কিছু বেশি। মৌসুম শেষে তিনি বিক্রি করে পাবেন ১১ লাখ টাকা।ক

উলাশির কাঠুরিয়া গ্রামের কুলচাষি খোরশেদ আলম বলেন, এই মাঠে এ বছর নতুন করে আট বিঘা জমিতে কুল গাছ লাগিয়েছিলাম। একদিন বাদে ৪০০ কেজি করে কুল পাচ্ছি। প্রতি কেজি কুল বিক্রি করছি ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি বিঘায় এক লাখ টাকার কুল বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, উপজেলায় এবার পাঁচশ’র বেশি কৃষক অন্তত দেড় হাজার বিঘা জমিতে কুলচাষ করেছেন। চাষিদের কৃষি বিভাগ থেকে নানা পরামর্শ দিচ্ছে ও সহায়তা করে আসছে।
সুত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *