ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।শীতকালীন সবজি, বোরো বীজতলা, পাকা রোপা আমন, সরিষা ও মসুর ডাল ক্ষেতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের তালিকায় রয়েছে শীতকালীন সবজি, বোরো বীজতলা, পাকা রোপা আমন, সরিষা ,আলু, গম, পেঁয়াজ,ভূট্টা,মিষ্টি আলু, চিনাবাদাম,সূর্যমুখী , মটরসুটি,খেসারি, মসুর ডাল, ধনিয়া,আখ, মরিচ ও পান। টানা চারদিনের বৃষ্টিতে মোট ২৪হাজার ৮৪২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, ২৫৩ হেক্টর জমির বোরো বীজতলা, ২৫৬ হেক্টর জমির আলু, ২০৬ হেক্টর জমির গম, ২১৬ হেক্টর জমির পেঁয়াজ, ৪ হাজার ১৬৩ হেক্টর জমির মসুর, ৯ হাজার ৯১০ হেক্টর জমির সরিষা, ৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি, ১৫০ হেক্টর জমির ভুট্টা, ১৫ হেক্টর জমির মিষ্টি আলু, ২৫ হেক্টর জমির চিনাবাদাম, ১০ হেক্টর জমির সূর্যমুখী, ২০০ হেক্টর জমির মটরশুটি, ১৫০ হেক্টর জমির খেসারি, ৭৫ হেক্টর জমির রসুন, ১০ হেক্টর জমির ধনিয়া, ৭৫ হেক্টর জমির আখ, ৩শ’ হেক্টর জমির মরিচ ও ১০ হেক্টর জমির পানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঘূণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে জেলায় প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের ক্ষতি নিরুপণের কার্যক্ষম চালাচ্ছেন।সামনের দিনে কৃষকরা আবার কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে ব্যাপারের কৃষকদেরকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।আবহাওয়া পরিবর্তনসহ দ্রুত পানি নিষ্কাশন হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে বলে তিনি জানান।
সুত্রঃ বাসস