যে কারণে বাড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ে আম বাগানযে কারণে বাড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ে আম বাগান

 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ  ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাড়ছে আম বাগান। অন্যান্য ফসল চাষ করে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে তারা আম বাগানের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন।

জেলার বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, সময় মতো শ্রমিক না পাওয়া, শ্রমিকের মজুরিও বেশি। এ জন্য ধান, গম ও পাটসহ অন্যান্য ফসলে বার বার লোকসান হওয়ায় আম বাগান বাগানের প্রতি ঝুঁকেছেন তারা।জানা যায়, এ জেলার রূপালি জাতের আম্রপালি আমের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা এই জাতের বাগান স্থাপনে ঝুঁকে পড়েছেন।

জেলার পাঁচটি উপজেলায় গত পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ আমের বাগান করা হয়েছে।পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষক মিজানুর, সাদেকুল ও হাসিবুল জানান, এক বিঘা জমিতে আম্রপালি জাতের গাছ লাগানো যায় কমপক্ষে ১৬০টি। তিন বছরের মধ্যে প্রতিটি গাছ থেকে এক ক্যারেট (২০ কেজি) আম পাওয়া যায়। প্রতি কেজি ৫০ টাকা হারে এক ক্যারেটের দাম এক হাজার টাকা। সেই হিসেবে এক বিঘা জমিতে প্রাপ্ত আম বিক্রি হয় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, প্রথম বছর যে আম পাওয়া যায় পরের বছর পাওয়া যায় তার দ্বিগুণ। এভাবে প্রতি বছর আম ও লাভের পরিমাণ বাড়তে থাকে নয় বছর পর্যন্ত।ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, ‘জেলার ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট-বড় বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ৫০০ আমের বাগান রয়েছে।

এ জেলার কৃষকরা ধান, গম, পাট আবাদের পাশাপাশি আম বাগান করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *