নিউজ ডেস্কঃ
টমেটো সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর দেশে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন টমেটো আমদানি করতে হয়। এছাড়াও ভরা মৌসুমে লোকসান গুণতে হয় কৃষকদের। তাই কৃষকদের লোকসান ঠেকানোর পাশাপাশি উদ্যোক্তা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে টমেটো প্রসেসিং সেন্টার চালু করেছে রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। গ্রেডিং মেশিনে টমেটো বাছাইয়ের পর কয়েকধাপ পেরিয়ে বয়লারে হিটের মাধ্যমে প্রতিঘণ্টায় আড়াইশো কেজি টমেটো প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর টমেটো প্রসেসিং সেন্টারের অপারেটর শাহ আলম বলেন,’স্বাস্থ্যসম্মত এবং উন্নত মানের টমেটো নেয়া হয়। কোন কেমিক্যাল নাই। শুধুমাত্র প্রিজারবেটিভ দিয়ে প্যাকেজ করা হয়।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন,’বর্তমানে টমেটোর বাজার মূল্য অনেক কম । এই প্লান্টটা যদি চলমান থাকে তবে আমার এলাকার কৃষক ভাইয়েরা লাভবান হবেন।’
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানিয়েছে, আমদানি নির্ভরশীলতা কমানো ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং উদ্যোক্তা তৈরির জন্য এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান,’টমেটো প্রক্রিয়াজাত করবো। আমরা উদ্যোক্তা তৈরী করবো। সেই সঙ্গে আমরা কৃষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াবো। উদ্যোক্তরা এই টমেটো পাল্প অন্য কোম্পনির কাছে বিক্রি করবে।
সুত্রঃ ডিবিসি