নিউজ ডেস্কঃ
প্রতিনিধি, লালমনিরহাট রংপুর: নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ৮০০ ডিলার চাহিদামতো বিএডিসির সার ও বীজ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। এতে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের রংপুর বাদে বাকি চার জেলা এখন পর্যন্ত ডিপিএ সারের কোনো বরাদ্দ পায়নি। ফলে বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এ অঞ্চলের চাষিরা পড়েছেন নতুন দুশ্চিন্তায়।
বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ অঞ্চলের পাঁচ জেলার ডিলাররা তিন হাজার ৯৫০ টন আলু বীজ, দুই হাজার ৯৫০ টন ধান বীজ, এক হাজার ২০০ টন গম বীজ ও ৬২ টন হাইব্রিড ধানবীজ বরাদ্দ পেয়েছিল। তবে এবার তার অর্ধেকও পাওয়া যায়নি। আর একজন ডিলারের প্রতি মাসে ৩০০ বস্তা করে ইউরিয়া সারের চাহিদা থাকলেও গত তিন মাসে তারা পেয়েছেন গড়ে ১৫ থেকে ১৮ বস্তা।
রংপুর অঞ্চলের বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলী হাকিম জানান, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় শষ্যভাণ্ডার বলে খ্যাত রংপুর অঞ্চল কৃষিতে অভাবনীয় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা আলু, গম, ভুট্টা, ধানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু ডিলাররা চাহিদা এবং সঠিক সময়মতো বীজ ও সার কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর বিএডিসির উপপরিচালক আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘শুধু আলু বীজের সংকট রয়েছে, অন্যান্য বীজের কোনো সংকট নেই। তবে পূর্বের তুলনায় বরাদ্দ কিছুটা কম রয়েছে। আর সারের বিষয়টি আমি দেখি না। তবে শুনেছি সারেরও কিছু সংকট আছে।’
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন