রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যানী ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম বুলবুল ২ একর জমিতে পাট আবাদ করে ফলন পেয়েছেন ৩৬ মণ। প্রতি মণ ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৭২ হাজার টাকা। তার মতো অনেকেই এবার পাট আবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ১৩ বছরে পাটের আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এই মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে পাট আবাদ হয়েছে প্রায় ৫৬ লাখ ৪১২ হাজার হেক্টরে, যা গত ১০ বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
কৃষি অফিসের সূত্র মতে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার পাটের আবাদ হয়েছে ৫৬ হাজার ৪১২ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৮ বেল। ২০০ কেজি করে প্রতি বেল পাটের হিসাব ধরা হয়। সেই হিসাবে ৩৪ লাখ ৪৬ লাখ ৮৪০ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে এই অঞ্চলে। প্রতি মণ ২হাজার টাকা করে বিক্রি হলে সেই হিসেবে প্রায় ৬৯০ কোটি টাকা ঘরে তুলবে পাট চাষিরা।
অপরদিকে, প্রতিমণ পাট খড়ি বিক্রি হবে গড়ে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। প্রতি হেক্টর জমির পাট খড়ি বিক্রি হবে ২৫ হাজার টাকায়।
চাষি আফজাল জানান, পাট আবাদ করে তারা ২ ধরনের লাভ পাচ্ছেন। তা হলো ভালো দামে পাট বাজারে বিক্রি করা এবং পাটখড়িও বেশ চাহিদা থাকায় তা পাটের আঁশের সাথে সাথে তারা পাটখড়ি বিক্রি করেও লাভবান হবেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক বিধু ভূষন জানান, এবার রংপুর অঞ্চলে পাটের ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকরাও পাটের ভাল দাম পাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশের বেশি কৃষক পাট ঘরে তুলেছে।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন