নিউজ ডেস্কঃ
মৌসুমী ফল মানেই জিহ্বায় জল চলে আসার অবস্থা। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, লটকনসহ আরও কতো ফল। এক আমের রয়েছে একাধিক নাম, নামে কমতি নেই লিচুর ক্ষেত্রেও। আর এসব ফলের দামে কম হওয়া মানেতো কথাই নেই। পরিবারের সঙ্গে বসে রসালো ফলের স্বাদ নেওয়া যেনো সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে।
বিক্রেতারা জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ আত্মীয়ের বাসায় ফল নিয়ে যেতে পারছেন না। অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছে না, গ্রামে ছুটিতে যাচ্ছেন না। এসব কারণে এবার ফলের দাম কমেছে।
শনিবার (১৩ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও শাহজাহানপুর মৈত্রী মাঠ, রেলগেট, মালিবাগ বাজার ও রেলগেট সললগ্ন বাজার এবং রামপুরা বাজার এলাকার বাজারগুলোতে প্রতিকেজি হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা, ল্যাংড়া আকারভেদে ৬০-৮০ টাকা, কহিতর ৭০-৯০ টাকা, আম্রপালি ৮০-৯০ টাকা কেজিদরে।
প্রতি ১০০ পিস বেলোয়ারি লিচু ২০০ টাকা, বেদানা লিচু ৩৫০-৪০০ টাজা, বোম্বে লিচু ২৮০-৩০০ টাকা, চায়না থ্রি ৪৫০-৫৫০ টাকায়। প্রতি তিন কেজি ওজনের গাজীপুরের পাকা কাঁঠাল ১০০-১২০ টাকা, পাঁচ থেকে সাত কেজি ওজনে কাঁঠাল ১৮০-২০০ টাকা, বড় সাইজের কাঁঠাল ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আরও কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পার্বত্য এলাকা থেকে আসা কাঁঠাল। পার্বত্য এলাকার তিন কেজি ওজনের গাজীপুরের পাকা কাঁঠাল ৮০-১০০ টাকা, পাঁচ থেকে সাত কেজি ওজনে কাঁঠাল ১৫০-১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজিদরে, প্রতিকেজি লটকন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজিদরে। এসব বাজারে প্রতি পিস তাল ছোট (তিন কোষ) ১২-১৫ টাকা, বড় তাল (তিন কোষ) ২০ টাকা, দুই কোষ তালের দাম ৮-১০ টাকা রাখা হচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এবার মৌসুমী ফলের দাম কম হওয়ায় বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে কিনছেন রাজধানীবাসী। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে।
মালিবাগ বাজার এলাকার ক্রেতা মন্টু বলেন, এবার সব ফলের দাম কম হওয়ায় বেশ ভালো লাগছে। যদিও বিক্রেতারা দাম বেশি চাইছে তবে দরদাম করলে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। করোনাকালে আম, কাঁঠাল, জাম, তাল, লিচু কম দামে পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।
খিলগাঁও রেলগেট এলাকার আম ও লিচু বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ এবার আত্মীয়ের বাসায় মৌসুমী ফল নিয়ে বেড়াতে যেতে পারছেন না। অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছে না, গ্রামে ছুটিতে যাচ্ছেন না। অন্য বছর শহর থেকে গ্রামে গেলে ফল কিনে নিতো এবার সেটা নেই। এসব কারণে এবার ফলের দাম কমেছে।