নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়া-কমা না হলেও আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। তবে কিছুটা কমেছে হাইব্রিড শসা, কচুর লতি, ধনিয়া পাতা, কাঁচা কলা, পেঁপে ও দেশি গাজরের দাম।
বাজারে আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা গাজর।
অন্যদিকে দাম বাড়ার তালিকায় ফের এসেছে শাক। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিআঁটিতে (মোড়া) তিন থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। শাক-সবজির চড়া দাম নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, দেশে চলমান বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় বাজারে আগের মতো সবজি আসছে না। আর ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলে বাজার মনিটরিং না থাকায় দাম কমছে না পণ্যের।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এদিন নগরীর রামপুরা কাঁচা বাজার, মগবাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে সবজির দাম না কমলেও নতুন করে দাম বেড়েছে শাকের।
এসব বাজারে কিছুটা দাম কমেছে হাইব্রিড শসা, কচুর লতি, ধনিয়া পাতা, কাঁচা কলা, পেঁপে ও দেশি গাজরের দাম। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৫০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাকি সব সবজি। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তা ৮০ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙ্গা-ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বর্তমানে প্রতিকেজি দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, আমদানি (ভারতীয়) করা মরিচ ১৮০ টাকা।
প্রতিআঁটিতে (মোড়া) তিন থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে শাকের বাজারে। এসব বাজারে প্রতিআঁটি (মোড়া) লাল শাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ও কলমি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ডাটা শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
আগের দাম রয়েছে আদা, পেঁয়াজ ও রসুনের বাজারে। এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আদা (মানভেদে) ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে।
আগের দাম রয়েছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের বাজারে। বর্তমামে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট পুরান ৫৫ টাকা, বাসমতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, গুটি ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পায়জাম ৪৪ টাকা, স্বর্ণ ৪০ থেকে ৪২ টাকা, আঠাশ ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা, আতপ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এক সিদ্দ ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে।
প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, এংকর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন (লাল) তেল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন ১০০ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
এদিকে শাক-সবজির দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বাজারে। হামিদুল ইসলাম নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, এখন সবজির সিজন না। এরপর চলমান বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বাজারে সবজি বেশি আসছে না এ কারণে দাম কমছে না।
জিয়াউর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে ব্যাপক সবজির সরবরাহ আছে কিন্তু দাম কমছে না। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হয় না দেখে পণ্যের দাম কমে না।
সুত্রঃবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম