লিচুর সংরক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন, ৬ মাসেও পচবে নালিচুর সংরক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন, ৬ মাসেও পচবে না

 

নিউজ ডেস্কঃ

মৌসুমী ফল লিচু। সবার মন জয় করা অনন্য স্বাদ ও লোভনীয় লিচু। বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশী লিচু হয়। এই লিচু সারাবছর খাওয়ার উপযোগী করে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন দিনাজপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক হোসেন।

জেলা পর্যায়ে ৩৮তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা স্কুলে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় কলেজ পর্যায়ে উদ্ভাবিত লিচু সংরক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক হোসেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

এই পদ্ধতির সাহায্যে প্রায় ৬-৭ মাস পর্যন্ত লিচু সংরক্ষণ করতে সামর্থ হয়েছে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মোসাদ্দেক হোসেনের নেতৃত্বে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া তামান্না ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরিদুল ইসলাম ৬ মাস ধরে প্রভাষক আনোয়ার হোসেন ও জুয়েল রহমানের তত্বাবধানে গবেষণা চালিয়ে লিচু সংরক্ষণে সফলতা লাভ করেছেন।

লিচু সংরক্ষণের ব্যাপারে মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ফল পাকার জন্য দায়ী ইথিন বা ইথিলিন গ্যাসের উপরে পর্যবেক্ষণ করে লিচুকে গাছ থেকে পাড়ার পর যেন শুকিয়ে বা পঁচে না যায় সেজন্য পুষ্টির মাধ্যমে রাখা হয়। পুষ্টি মাধ্যম হিসেবে লিচুর বীজের পাউডার, লিচুর পাতার নির্যাস ও পানির দ্রবণ নির্দিষ্ট অনুপাতে তৈরি করে ফুটানো হয়। এরপর বোটাসহ লিচুকে বোতলজাত করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় (২০-২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট) ছাঁয়াযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করা হয়। লিচুর টিস্যু ও কোষসমূহ সরাসরি প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করার মাধ্যমে লিচু সতেজ থাকে এবং ৬-৭ মাস পর্যন্ত এভাবে লিচু সংরক্ষণ করা যায়।

আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন জানায়, সংরক্ষণ করে ২০১৫ ও ২০১৬ লিচু মৌসুমে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। লিচুর আবরণ লালচে বর্ণ ধারন করলেও লিচুর দানা ও ফ্লেবার অপরিবর্তীত থাকে। লিচুর খাদ্য গুণাগুণের বৈশিষ্ট্য ঠিক আছে কি না তা নির্ণয়ে আরও উন্নত গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ খালেকুজ্জামান জানান, মোসাদ্দেক হোসেনের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বেশ কিছু সফল গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। মোসাদ্দেক হোসেন জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি জেলার শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবকের স্বীকৃতি ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর সম্মাননা পেয়েছে। কলেজ প্রশাসন থেকে তাকে স্কলারশীপের মাধ্যমে পড়াশুনার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

সুত্রঃ সোনালী নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *