নিউজ ডেস্কঃ
দেশীয় পিয়াজের মান ভালো ও তুলনামূলক দাম কম থাকায় এবং বাজারে সরবরাহও বেশি থাকায় আমদানিকৃত পিয়াজের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যায়। আবার ভারতেই পিয়াজের দাম বেশি। ফলে আমদানি করা পিয়াজ বিক্রিতে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
তাই অনুমতি থাকলেও পিয়াজ আমদানি করছে না দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পিয়াজ আমদানিকারকরা।
এর আগে নানা জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরের গত ২ জানুয়ারিতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হয়। তবে প্রথমদিকে কিছু ট্রাক পিয়াজ আমদানি করে ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় মোটা অংকের লোকসান। তাই লোকসান হওয়ায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পিয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আমদানি করছে না হিলি স্থলবন্দরের পিয়াজ আমদানিকারকরা। তবে আগামী মাসে পিয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে বলে জানান হিলি স্থলবন্দরের আমদানিক-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ।
হিলি বাজারের ব্যবসায়ী সাবুল হোসেন জানান, বাজারে আমদানিকৃত পিয়াজের সরবরাহ নেই, তবে দেশীয় পিয়াজের সরবরাহ থাকলেও কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই থেকে তিনদিনের ব্যবধানে দেশি পিয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে দেশীয় পিয়াজ পাইকারী ২৩-২৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে এবং খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৫-৩০টাকা।
আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে আমদানিকৃত পিয়াজের চেয়ে দেশীয় পিয়াজের মান ভালো ও দাম কম থাকায় ভোক্তারা সেই পিয়াজের চাহিদা বেশি দেখায়। তাই লোকসান আশংকায় আমদানিকারকরাও পিয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। বাজার স্বাভাবিক হলে আবার পিয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিক-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতের অভ্যন্তরে পিয়াজের দাম বেশি ও সরকার পিয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ করায় পিয়াজ আমদানি করে বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। একারণে পিয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে আমদানিককারকরা। আশা করছি আগমাী মাসে ভারতে পিয়াজের দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দাম কমে এলে তখন আবার আমদানি শুরু হতে পারে।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন