দেশে চাষ করা হয় এমন কিছু বৈচিত্র্যময় ফসলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই এই প্রয়াস। এ কাজে নিয়োজিত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া এবং অধ্যাপক ড. মো. ছরোয়ার হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ মিয়া কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের চতুর্থ তলায় গড়ে তোলা হয়েছে এই জিন ব্যাংক ও সিড মিউজিয়াম যা হেকেপ (হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠিত। এতে আর্থিক সহায়তা করেছে বিশ্বব্যাংক।

২৫ ধরনের ফসলের দেড় শতাধিক প্রজাতির জিন সংরক্ষণ করা হয়েছে এই ব্যাংকে। এতে রয়েছে ১০০ প্রজাতির ধান, ১৩ প্রজাতির ভুট্টা, ২৪ প্রজাতির সবজি, ১৩ প্রজাতির কটন, ৩ প্রজাতির সরিষা। এছাড়াও আছে টমেটো, টমাটিলো, মরিচ, মসুর, মটর, তিলসহ বেশ কয়েক ধরনের ফসলের জিন। আর প্রায় ২০০ ধরনের বীজ নিয়ে গঠিত হয়েছে সিড মিউজিয়াম যা শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন ফসলের বীজ চিনতে সহায়তা করবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এ জিন ব্যাংক ও সিড মিউজিয়াম খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এমনকি জিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসলের জিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে গবেষণা করার ক্ষেত্রেও তা নমুনা সংগ্রহে বেশ সহায়ক হবে।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, জিন ব্যাংক ও সিড মিউজিয়ামের গুরুত্ব অনেক। তবে এগুলোর সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য অন্তত একজন লোক দরকার। তা না হলে শিক্ষার্থীরা দেখার সুযোগ হতে বঞ্চিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে একটু সহযোগিতা করলে শিক্ষার্থীরা লাভবান হবে এবং আমাদের কাজের গতিও বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *