শেরপুরের নকলায় খরিপ-২ মৌসুমে ১৩৪টি কৃষি প্রদর্শনণী বাস্তবায়নশেরপুরের নকলায় খরিপ-২ মৌসুমে ১৩৪টি কৃষি প্রদর্শনণী বাস্তবায়ন

মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরের নকলা উপজেলায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের খরিপ-২ মৌসুমে রাজস্ব কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ১৩৪টি কৃষি প্রদর্শণী প্লট বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, খরিপ-২ মৌসুমে বাস্তবায়িত ১৩৪টি প্রদর্শণী গুলোর মধ্যে ১০৩টি রোপা আমনের, ২৯টি শাক-সবজি, ডাল, মসলা ও একটি বেলিটেশন ট্রায়াল প্লট রয়েছে।

রোপা আমন প্রদর্শণী প্লট গুলোর মধ্যে, রাজস্ব কর্মসূচির আওতায় ৫০টি, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ২৪টি, এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ১২টি, আধুনিক পদ্ধতিতে ধান, গম ও পাট উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ১০টি ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭টি প্রদর্শণী প্লট মাঠে বাস্তবায়ন করা হয়।

অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়িতে পারিবারিক সমাজ পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় সবজি পুষ্টি বাগান ১৭টি, হলুদ প্রদর্শণী প্লট ৩টি ও লতি কচুর প্রদর্শণী প্লট ৩টি। এছাড়া টমেটো ও বেগুনের প্রদর্শণী প্লট ২টি করে, মাসকালাই, ভার্মিকম্পোস্ট ও সবজি বাগান একটি করে এবং একটি বেলিটেশন ট্রায়াল প্রদর্শণী প্লট বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।

২০২০-২০২১ অর্থবছরের খরিপ-২ মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ-এর ত্বত্তাবধানে উক্ত প্রদর্শণীগুলো কৃষকরে মাঠে বাস্তবায়ন করতে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি ও কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মুসা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফকির মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসারগন কৃষকের মাঠে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, রাজস্ব কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত প্রদর্শণীগুলো বাস্তবায়ন করার আগে এলাকা ঘুরে ঘুরে উৎপাদনের উপযোগিতা যাচাই বাছাই করে প্রদর্শণী গুলো কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ফসল উৎপাদন, উৎপাদিত ফসল ও বীজ সংরক্ষণ, বিপণন ও বিতরণ কৌশল সম্পর্কে অবহিত করতে প্রদর্শণী বাস্তবায়নের আগেই মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসারসহ কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে করে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিপণ্য উৎপাদনে প্রতিটি কৃষক-কৃষাণী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়েগেছে বলে তিনি মনে করেন। রাজস্ব কর্মসূচিসহ প্রতিটি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য পর্যায়ক্রমে অর্জিত হচ্ছে বলে কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদু জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *