মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের আওতায় গরুর খামারীদের মাঝে বিনামূল্যে গবাদি পশুর কৃষিনাশক ও ভিটামিন প্রিমিক্স বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১২ মে বুধবার শেরপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে এক বিতরণ অনুষ্ঠনের আয়োজন করা হয়।
শেরপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্ত-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই। এসময় প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. ফারজানা মৌসহ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে কর্মরত উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন গরু খামারী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্ত জানান, গরুর খামারীদের জীবন মান উন্নয়নে তাদের খামারের গরু গুলো হৃষ্টপুষ্টকরতে আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় ঔষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করাসহ নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ মে বুধবার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন গরুর খামারীর মাঝে বিনামূল্যে গবাদি পশুর কৃষিনাশক ও ভিটামিন প্রিমিক্স বিতরণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় খামারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ তাদের মাঝে বিনামূল্যে গবাদি পশুর কৃষিনাশক, ভিটামিন প্রিমিক্সসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ঔষুধ এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ও হ্যালথ কার্ডসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই জানান, প্রতি অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাছাই করে অন্তত ৫০ জন খামারীকে আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্পের আওতায় ৩ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত খামারীদের মাঝে ওই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। এতে করে গরুর খামারীরা বেশ উপকৃত হচ্ছেন। ফলে গরুর খামারের সংখ্যা ও সুবিধা ভোগীর হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি জানান।