কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরাধীন শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) থেকে মুক্ত হয়ে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) জয় করে কর্মস্থলে যোগদানের সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তাগন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর সময় জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এফএম মোবারক আলী, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ গোলাম রাসূল, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ মো. আজিজল হক, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পিকন কুমার সাহা, নকলা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন কবীর, নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আলমগীর কবীর, শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) থেকে শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ ড. মোহিত কুমার দে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এ আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে ১ সেপ্টেম্বর নিজ কর্মস্থলে ফিরেন তিনি।
অন্যদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত গাজীপুর বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির উপপরিচালক (মাঠ প্রশাসন) আলহাজ্ব কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিনের বাম পায়ে সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বুধবার (৫ আগস্ট) ঢাকার গাজীপুর অফিস থেকে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ী দিয়ে ময়মনসিংহের বাসায় ফিরার পথে ত্রিশাল উপজেলায় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এসময় ওই গাড়িতে কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিনের সাথে থাকা গাজীপুর বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির উপপরিচালক ড. কৃষিবিদ মো. সাদিকুর রহমান ও সুনামগঞ্জ জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল মোন্নাফ আহত হন এবং গাড়ীর চালক আকাশ মিয়া নিহত হন। আহতের মধ্যে অন্য ২ জন দ্রুত সেড়ে ওঠলেও গাজীপুর বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির উপপরিচালক (মাঠ প্রশাসন) আলহাজ্ব কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিনের বাম পায়ে ১ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে অপারশেন করতে হয়েছে। আলহাজ্ব কৃষিবিদ মো. আশরাফ উদ্দিনের সহধর্মীনী রহিমা বেগম মোবাইল ফোনে জানান, তাঁর স্বামী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাঁর বাম পায়ে অপারেশন করাতে হয়েছে। তিনি বলেন, এখন আপাতত সকল প্রকার শঙ্কামুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকগন। রহিমা বেগম তাঁর স্বামীর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।