শেষ মুহূর্তে আমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় খুশি চাষিরাশেষ মুহূর্তে আমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় খুশি চাষিরা

 

আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে সপ্তাহখানেক আগেও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন ব্যবসায়ীরা। আম চাষিদের কপালে পড়েছিল দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তবে এখন আম চাষিরা ভালো দাম পাওয়ায় তাদের চিন্তা দূর হয়েছে।

আম ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে গত বছর থেকে তাদের ব্যবসার লোকসান হচ্ছে। তবে এবার দাম বাড়তে শুরু করেছে।

শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কানসাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে বাজার ভরে রয়েছে সুস্বাদু আশ্বিনা জাতের আমে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম্রপালি কম হওয়ায় কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে এই জাতের আম। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আশ্বিনা ফ্রুট ব্যাগিং করা আম ও ফ্রুট ব্যাগিং ছাড়া আম। ৭-১০ দিন আগেও এ জাতের আম বিক্রি হয়েছে ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু গত তিন দিন থেকে দ্বিগুণ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

কানসাট বাজারে আশ্বিনা ফ্রুট ব্যাগিং ছাড়া আম নিয়ে এসেছিলেন সবুজ আলী তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ৪শ’ মণ আশ্বিনা জাতের আম ছিল। প্রায় সব বিক্রি করে দিয়েছি ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ দরে। কিন্তু ৩০ মণ আম গাছে ছিলো এগুলা এখন বিক্রি করছি চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা মণ। এমন দাম প্রথম থেকে হতে থাকলে অনেক লাভবান হতাম।

আম বিক্রি করতে আসা ময়েন জানান, প্রায় আড়াইশ মন আম ছিলো আশ্বিনা জাতের। প্রথমে বিক্রি করেছি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে। তবে ঈদের পর থেকে আমের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। আশ্বিনা ফ্রুড ব্যাগিং করা আম বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা মণ দরে। তবে প্রথম থেকে এ দামে আম বিক্রি করতে পেলে আমাদের লোকসান হতো না। তবে আমাদের জিম্মি করে ৫২ কেজি মণ নিচ্ছে আড়ৎদাররা।

কানসাট বাজারের আড়ৎদার মামুন জানান, এ বছরের প্রথম থেকেই ৮শ’ থেকে ১২০০ টাকা মণ পর্যন্ত আশ্বিনা জাতের আম কিনেছি। এ জাতের আম এখন কিনছি ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা মণ দরে। আমের চাহিদা বেড়েছে। যারা গাছে আম রেখেছেন তারা এখন ভালো দাম পাচ্ছেন।

কানসাট আম আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, ৫-৭ দিন থেকেই আমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় খুশি আম চাষিরা। এখন আমের পরিমাণ কমে আসছে আর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর এই জেলায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

সুত্রঃবার্তা২৪.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *