1. mahbub@krishinews24bd.com : krishinews :
শিরোনাম

শ্রমিক সংকটে দিশেহারা পাট ও তিল চাষিরা

  • আপডেট টাইম : Thursday, June 4, 2020
  • 678 Views

 

নিউজ ডেস্কঃ

রাজবাড়ী একটি কৃষিনির্ভর জেলা। এ জেলায় সব ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শ্রমিক সংকট ও অর্থাভাবে চাষিরা ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে পারছেন না। ফলে পাট ও তিলের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জেলার প্রধান অর্থকরী ফসলের মধ্যে পাট অন্যতম। পাশাপাশি ব্যাপক আকারে তিলও চাষ হয়। করোনা ও ধান কাটা মৌসুম হওয়ায় শ্রমিক সংকট ও অর্থাভাব দেখা দিয়েছে। এখন আগের মত শ্রমিক পাওয়া যায় না। এ ছাড়া জেলা থেকে প্রায় দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা।

মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অতিবৃষ্টি ও সঠিক সময়ে ক্ষেত পরিচর্যা না করায় জমিগুলো আগাছায় ভরে গেছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ফলন হবে বলে আশঙ্কা চাষিদের। জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় পাট, তিলসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করা হয়। সংকট থাকায় জমির আগাছা নিজেকেই পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কিন্তু বেশি আগাছা পরিষ্কার করা একার জন্য যথেষ্ট নয়।

সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের কৃষক আ. মান্নান তালুকদার ও তোফাজ্জল হোসেন ভূইয়াসহ অনেকে জানান, আবাদী জমিতে প্রচুর আগাছা ও ঘাস জন্মেছে। তাই পাট ও তিল বেড়ে উঠতে সমস্যা হচ্ছে। এবার চাষে এ পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি লাগবে আগাছা পরিষ্কার করতে। বাড়তি টাকা দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না তারা। এখন পর্যন্ত কোনো কৃষি অফিসার তাদের কোনো পরামর্শ দেননি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘জেলায় এ বছর ৪৬ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে পাট ও ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছে। অন্য জেলা থেকে শ্রমিকরা ফিরে এলে শ্রমিক সংকট থাকবে না। এ ছাড়া বর্তমানে কৃষকদের জন্য কোনো প্রণোদনা নেই। তবে আগাছা দমনে কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।’

সুত্রঃ জাগো নিউজ

নিউজ টি শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন...

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2020 krishinews24bd

Site Customized By NewsTech.Com