সকল বিলুপ্তপ্রায় মাছকে পর্যাক্রমে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে -বিএফআরআই মহাপরিচালকসকল বিলুপ্তপ্রায় মাছকে পর্যাক্রমে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে -বিএফআরআই মহাপরিচালক

নিউজ ডেস্কঃ
দেশের বিলুপ্তপ্রায় সকল মাছকে পর্যায়ক্রমে প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে সংরক্ষণ করে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। শুক্রবার (২৬জুন) ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি গবেষণা কেন্দ্রের ২০১৯-২০ অর্থবছরে চলমান গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আহসান বিন হাবিব।

পর্যালোচনা সভায় ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, দেশে এখন বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪টি। পরিবেশ দুষণ ও অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয় সংকোচিত হওয়ায় আমাদের দেশীয় মাছের প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই দেশীয় এসব মাছকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিএফআরআই গবেষণা জোরদার করেছে। ইনস্টিটিউট হতে ইতোমধ্যে ২৩ প্রজাতি মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে। এরমধ্যে পাবদা, গুলসা, টেংরা, মেনি, বৈরালি, বাটা, চিতল, মহাশোল, ফলি, গুতুম, খলিসা, ইত্যাদি অন্যতম। ফলে এসব মাছের প্রাপ্যতা সাম্প্রতিককালেক বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মূল্যও সাধারন ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে আছে।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়,বিএফআরআইয়ের ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি গবেষণা কেন্দ্র ছাড়াও বগুড়ার সান্তাহার, নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর ও যশোর উপকেন্দ্রে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। ইনস্টিটিউট থেকে বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় মাছ ঢেলা, গজার, শাল বাইম, কাকিলা ও আঙ্গুস এবং উপকূলীয় চিত্রা, দাতিনা ও কাওন মাছ নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইনস্টিটিউট দেশের অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ যেমন শামুক, ঝিনুক, কাকড়া, কুচিয়া, সীউইড প্রভৃতি প্রজাতি নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছে।
সুত্রঃ এগ্রিভিউ২৪ ডট কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *