দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাবারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিপণন এবং খাবার হিসেবে গ্রহণের সুঅভ্যাস তৈরির প্রচেষ্টা সরকার চালিয়ে যাচ্ছে। জনসচেতনতা এ প্রচেষ্টাকে আরও সার্থক ও সফল করতে পারে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ইন্টার কন্টিনেন্টাল গ্রান্ড বলরুমে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। নিরাপদ খাবার নিশ্চিত হলেই একটি সুস্থ, সবল, কর্মঠ এবং মেধাবী জনগোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব হবে। আর সেই লক্ষ্যেই ২০১৩ সালে প্রণয়ন করা হয় নিরাপদ খাদ্য আইন, যা কার্যকর হয় ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।
তিনি বলেন, দেশের আট বিভাগে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য পরীক্ষা করে তা নিরাপদ কিনা, সে বিষয়ে জনগণকে জানানো সম্ভব হবে।
অচিরেই নারায়ণগঞ্জে জাইকার অর্থায়নে এশিয়ার বৃহৎ টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে খাদ্যের মান নির্ণয় করে সনদ দেওয়া সহজ হবে।
এ সময় তিনি যার যার অবস্থান থেকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা সম্পাদক শাইখ সিরাজ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন।
এছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম, একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ বায়েজিদ মিল্কি, ডেইলি সানের নির্বাহী সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, বাংলাভিশনের হেড অব নিউজ মাসুদ কামাল, ডিবিসি চ্যানেলের প্রধান সম্পাদক প্রণব সাহা, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার প্রতিনিধি এবং হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা অংশ নেন।
সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ