নিউজ ডেস্কঃ

এতদিন পর্যন্ত সচরাচর বাজারে সাদা খোলস ওয়ালা ডিম আর লালচে খোলস ওয়ালা ডিমের দেখা মিলত। কোন কোন ক্ষেত্রে সবুজ খোলস ওয়ালা ডিমের দেখা পাওয়া যায়। এরই মাঝে হঠাৎ আবির্ভাব হয় সবুজ রঙের কুসুম ওয়ালা ডিমের। যা সচরাচর কখনো দেখা যায়নি। আর এরপরেই এই সবুজ কুসুম ওয়ালা ডিম নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে।

সবুজ কুসুম ওয়ালা ডিম পাড়ার মুরগি রয়েছে কেরলের মালাপ্পুরামের একটি খামারে। যে খামারে রয়েছে সাতটি মুরগি। আর এই সাত সাতটি মুরগিই সবুজ কুসুম ওয়ালা ডিম পাড়ে। আর এমন ঘটনা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছেন খামারের মালিক মালিক থেকে বিশেষজ্ঞরা।
খবরটি প্রথমবার শুনেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন পোলট্রি ফার্মের মালিক এ কে শিহাবুদ্ধেন। বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাঁর। শিহাবুদ্ধেন নিজেও নিশ্চিত ছিলেন না এই ডিমগুলো কি আদৌ খাওয়া যাবে? যদি বিষাক্ত হয়? এমনিতে সাধারণ ডিমের মতোই দেখতে। কিন্তু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ছুরি দিয়ে কাটলেই ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে সবুজ কুসুম।

মুরগিগুলোকে ডাক্তার দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উপায়ন্তর না দেখে শিহাবুদ্ধেন একটি পদক্ষেপ নেন। সবুজ ডিমগুলি না ফাটিয়ে সেগুলোয় তা দিয়ে নতুন মুরগি করার বন্দোবস্ত করেন তিনি। নতুন মুরগি জন্মায়ও। কিন্তু সেই ডিমগুলির রংও সবুজ। গত ন’মাস ধরে এই একই দৃশ্য দেখছে ওই পরিবার। শিহাবুদ্ধেন এই সবুজ ডিমের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই হয় রহস্যের সমাধান।

তবে ঘটনার জানাজানি হতে বিশেষজ্ঞরা এর রহস্য ভেদ করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। ওই খামারে পৌঁছান কেরালার ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটিতে (কেভিএএসইউ) বিজ্ঞানীরা। তারপর তারা এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। আর গবেষণা করতেই মুরগীদের সবুজ কুসুম ওয়ালা ডিম পাড়ার রহস্য ভেদ হয়।

কেরলের পশু চিকিৎসা ও প্রাণিবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের (KVASU) গবেষকরা গবেষণা করে সিদ্ধান্তে আসেন, খামারে ওই মুরগীদের দেওয়া কোন খাবারের জন্য এমন প্রতিক্রিয়া। অর্থাৎ সমস্যাটা মুরগীদের মধ্যে নয়, সমস্যাটা হলো মুরগীদের খাবারে। তবে শিহাবুদ্ধেন জানান তিনি ওই মুরগিদের অন্য কোনও খাবার খেতে দিতেন না। যা বাকি মুরগি খেত, ওরাও তাই খেত। তবে ফার্মের আশপাশে কুরুনথোটি জাতীয় ভেষজ গাছ রয়েছে কয়েকটি। মুরগিগুসলো সেটি খেয়ে থাকতে পারে। তার ফলে ডিম সবুজ হতে পারে বলেও জানান শিহাবুদ্ধেন।

সুত্রঃ  বাঙালি টক.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *