দেশে সারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, বৈঠক শেষে দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
‘কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন সারে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি লাগবে, এই ভর্তুকি কমাতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।’ আপনারা সারের দাম বাড়াতে চাচ্ছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সারের দাম বাড়ানোর কথা কে বলেছে? উনি যদি ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন আমার জানা নেই, আপনারা (গণমাধ্যম) কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করুন। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সবসময় দেশের, সরকারের ও জনগণের যে অর্থ এটা আমরা দেখাশোনা করি, এই ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব আমাদের। এখন সবাই যদি সাশ্রয়ী হন, এতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস যাতে না কিনে সেটার দায়িত্ব নিয়েই কাজ করতে হবে। দিন শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন উপায়ে অর্থের জোগান দিতে হয়। যদি এভাবে ঘাটতি পড়তে থাকে, তাহলে ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভর্তুকি কমানোর জন্য আপনার পরামর্শ কী, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে টোটাল অ্যামাউন্ট কী পরিমাণ লাগবে সেটা আমি জানি না। দাম বাড়ানো বা কমানোর কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি। এলে হয়তো জানতে পারতাম বা জানতে পারব আমাদের কী পরিমাণ অর্থ লাগবে। আমার সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণের জন্য ১০ বছর মেয়াদে এক হাজার কোটি টাকা চেয়েছে, এটি দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনসার ভিডিপি ব্যাংক থেকে সাহায্য সহযোগিতা চাচ্ছেন, এ বিষয়ে আমি এখনও চিঠি পাইনি। আমি আমাদের যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সেখানে যোগাযোগ করে দেখবো আমরা কবে চিঠি পেয়েছি। এবং তাদের একজ্যাক্ট (যথাযথ) প্রপোজালটা কী, সেটা জেনে আপনাদের অবহিত করবো। তবে যদি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিবেচনায় তাদের প্রস্তাবনা যথাযথ হয় তাহলে ডেফিনেটলি তাদের একোমোডেট অবশ্যই করা হবে।
তিনি বলেন, আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের একটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত চারটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৪৯২ কোটি ৪৭ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৭ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৭৮ কোটি ৫২ লাখ ছয় হাজার ২৫০ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের ঋণ ৪১৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ২২৭ টাকা।
সুত্রঃ জাগো নিউজ