মোঃ এমরান আলী রানা নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নাটোরের সিংড়ায় বর্ষার পানি নাগর নদী দিয়ে নেমে আসার পথে প্রায় ২ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বিশাল কচুরী পানার স্তুপ আটকে চলমান পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন ব্রীজে গত এক সপ্তাহ ধরে কচুরী পানার এই বিশাল স্তুপ আটকে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষ কোন পদক্ষেপ নেননি বলে এলাকা বাসীর দাবি । এদিকে গত কয়েক দিন ধরে নদীর পানি নামতে না পারায় তাজপুর এবং পাশের ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মাঠের বর্ষাকালীন প্রায় ২ হাজার একর জমির রোপা ধান পানিতে ডুবে যাওয়ার আশংকা করছেন ওই এলাকার কৃষক। এদিকে নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় তাজপুর ব্রীজও ঝুকির মধ্যে রয়েছে।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তাজপুর ব্রীজে আটকে থাকা কচুরী পানা পরিষ্কার করছেন ৫০ থেকে ৬০জন শ্রমিক। শ্রমিকরা জানান গত ২ দিন ধরে এই কচুরী পানা সরিয়ে নদী পথে পানি নেমে যেতে পারে সেই চেষ্টা করছি।
তাজপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রহিদুল ইসলাম বলেন,আমি ২০ দিন আগে আমার ৭ বিঘা জমিতে চৌত্রিশ ধান রোপন করেছি। কিন্তু মাঠের পানি ফুসে উঠায় আমার সব জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে।
স্থানীয় হাফিজুর রহমান,নাজমুল হাসান সহ আরও কয়েকজন কৃষক জানান নদীর পানি বাধাগ্রস্থ হয়ে প্রতিদিন মাঠে যে ভাবে পানি বাড়ছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মাঠের ফসলের পাশা পাশি এই এলাকার বাড়ি ঘরও পানিতে তলিয়ে যাবে।
তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভপতি আব্দুল জোব্বার সরদার বলেন, নাগর নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে গেছে এই কচুরীপানা আটকে থাকায়। কচুরীপানার স্তুপ এতো শক্ত যে এর উপর দিয়ে মানুষ হাটা চলা করতে পারছে। আমি প্রতমিন্ত্রী আলহাজ এড জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের নির্দেশে গত ২ দিন ধরে ৫ গ্রাম থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে কচুরী পানা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন বলেন, তাৎক্ষনিক ভাবে আমি প্রতমিন্ত্রীর কাছে এব্যাপারে কথা বলেছি,ভিডিও ও ছবি পাঠিয়েছি। মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে যাতে জনসাধারনের কোন অসুবিধার সৃষ্টি না হয়। এই কচুরী পানা আটকে থাকায় তাজপুর ব্রীজও হুমকির মধ্যে রয়েছে। আসলে শ্রমিক দিয়ে এটা সম্ভব নয়। নদীর স্রোতের গতিপথ বিপরীত দিকে পরিবর্তন হলে অথার্ৎ স্রোতের দিকের পরির্বতন হলে প্রাকৃতিক ভাবে এটা এমনিতেই সরে যাবে। তার পরও যতটুকু সম্ভব এই কচুরী পানা সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা পানি উন্নয়ন কর্মকতা মোঃ আবু রায়হান মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন,নদী থেকে কচুরী পানি সরানোর দায়িত্ব আমাদের নয়। আমি ওখানে লোক পাঠাবো তারা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখবে বিষয়টি যদি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *